এই মুহূর্তে জেলা

নিজের প্রচারের পাশাপাশি করোনা নিয়েও মানুষকে সতর্কবার্তা তৃণমূল প্রার্থী মনিকার ।

সুদীপ দাস, ৫ জানুয়ারি:- চন্দননগরের ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন অশোক মন্ডল। তৃণমূলের সমর্থক হলেও তিনি ছিলেন মানবদরদী। তার এলাকার সমস্ত মানুষের পাশে থাকতেন তিনি সবসময়। ২০১০ সালে তৃণমূল তাঁকে বাড়ির পাশেই ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু সামান্য ভোটের ব্যবধানে সিপিএমের কাছে পরাজিত হন তিনি। তার পরের বার ২০১৫ এই ওয়ার্ডটি হয়ে যায় মহিলা সংরক্ষিত। সেই কারণে তিনি টিকিট পাননি তবে এই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলেরই প্রার্থীকে জয়লাভ করিয়েছিলেন। মহিলা প্রার্থী হলেও জেতানোর কারিগর ছিলেন অশোক মন্ডল। দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল চন্দননগরে তখন তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আক্রান্ত মানুষের পাশে।

কিন্তু নিজে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে প্রাণ দিতে হয় তাকে। অশোক মণ্ডলের স্ত্রী মনিকা মন্ডল তিনিও কিন্তু স্বামীর সঙ্গে একদিকে যেমন রাজনীতিতেও সহযোগিতা করতেন তেমনি মানবসেবা তো হাত বাড়িয়ে দিতেন।মানিকবাবু জীবিত থাকলে তাকেই প্রার্থী করত দল।তবে তিনি না থাকায় গতবারের বিজয়ী প্রার্থীকে সরিয়ে দিয়ে অশোক বাবুর স্ত্রীকে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূল দল থেকে।সকাল থেকেই বাড়ি বাড়ি যেমন প্রচার সারছেন মনিকা দেবী, তেমনই খোঁজ খবর রাখছেন এলাকার মানুষ কেউ আক্রান্ত হলো কিনা।এবার ভোটের লড়াই ত্রিমুখী।গতবার প্রথম বামফ্রন্টের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল।এবারও সেই জয়লাভ অব্যাহত থাকবে এই ব্যাপারে নিশ্চিত সমস্ত নেতারাই।কারণ একদিকে যেমন মানিক মণ্ডলের মৃত্যু অপরদিকে সমাজসেবা এবং তার স্ত্রী এটাই হলো এখানকার প্লাস পয়েন্ট।