এই মুহূর্তে জেলা

মমতাময়ী ক্লিনিকের উদ্বোধনে এসে রাজ্যপালকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ কল্যাণের।

হাওড়া, ১ জানুয়ারি:- ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের উদ্যোগে মমতাময়ী ক্লিনিকের ( দুয়ারে চিকিৎসক ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বি আর আম্বেদকর যদি জানতেন জগদীপ ধনকরের মতো কোনও ব্যক্তি রাজ্যপাল হবেন তাহলে সংবিধানে রাজ্যপালের কোনও পদ তিনি রাখতেন না। তিনি রাজ্যপালকে হাস্যকর চরিত্র বলেও তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপালের সাংবিধানিক অধিকার নিয়েও। হাওড়া পৌরনিগমের বিল তিনি আটকে রেখেছেন কোন অধিকারে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন, বুদ্ধদেব থেকে শুরু করে সিপিএম, নরেন্দ্র মোদী কেউই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতে পারেননি আর রাজ্যপাল তাদের কাছে খুবই নগণ্য। রাজ্যপাল নর্দমার পোকার মতো উড়ে যাবেন। তিনি রাজ্যপালকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তার সঙ্গে সাংবিধানিক তর্ক সভায় বসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাজ্যপাল বসলে তাঁকে বুঝিয়ে দেবেন সংবিধান কতটুকু অধিকার তাঁকে দিয়েছে।

এদিনের অনুষ্ঠানে ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বিনামূল্যে গ্রামের গরিব মানুষকে এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘‘মমতাময়ী ক্লিনিক’’। প্রতি সপ্তাহে সোম থেকে শুক্র দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়া যাবে। এখানে এমবিবিএস বা মেডিসিনের চিকিৎসক ছাড়াও মাঝে মাঝে হৃদরোগ, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরাও বসবেন। আপাতত ডোমজুড়ের বিধায়ক তহবিল থেকে টাকা দিয়েই এই চিকিৎসা পরিষেবা গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের দেওয়া হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো উন্নতির জন্য টাকা বরাদ্দ করতো কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে এই বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যায়। যার জেরে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়ে এগুলি কার্যত ধুঁকতে থাকে। পঞ্চায়েতের অধীনে থাকলেও এগুলি সেভাবে দেখভাল হয় না।

তাই নতুন করে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে বিনা মূল্যে গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে এগুলি চালু করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বালি-জগাছা ও ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই এবার থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে। শনিবার পয়লা জানুয়ারি এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় ও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়, নন্দিতা চৌধুরী সহ অন্যান্যরা। আপাতত বালি-জগাছা পঞ্চায়েত সমিতির সাঁপুইপাড়া ও ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির সলপ, বাঁকড়ার মতো তিনটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। বাকিগুলিতে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে পরিষেবা চালু হবে।