জেলা এই মুহূর্তে

অপরাধ রুখতে ব্যাক্তিগত সিসিটিভিতেও নজরদারীর পরিকল্পনা চন্দননগর কমিশনারেটের।

হুগলি, ৮ ডিসেম্বর:- ক্লোজ-সার্কিট টেলিভিশন। অর্থাৎ সিসিটিভি। দিন কিংবা রাত যে কোনরকম ঘটনাই সিসিটিভি বন্দি হওয়া সম্ভব। বছর কয়েক আগে শুরু হয় সিসিটিভির পথ চলা। মাত্র এক দশকের মধ্যেই সিসিটিভি বিশ্বব্যাপী সহজলভ্য হয়েছে। ঘটে যাওয়া বাস্তবকে বন্দি করে রাখতে ওস্তাদ সিসিটিভি। তাই বিভিন্ন পর্যালোচনার ক্ষেত্রে সিসিটিভি ব্যাবহার আজ অবশ্যম্ভাবী। বিশেষ করে অপরাধী শনাক্ত করার ক্ষেত্রে এই ক্যামেরার আজ জুড়ি মেলা ভার। চুঁচুড়া শহর জুড়ে রয়েছে অগুন্তি ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরা। কোথাও সরকারি আবার কোথাও বেসরকারী। এবারে অপরাধ রুখতে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাতেও নজরদারী চালাতে চায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট।

এই উদ্যোগকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে কমিশনারেটের আওতাভুক্ত জেলা পুর এলাকাভিত্তিক গন সচেতনতা মূলক আলোচনা শুরু হলো। মঙ্গলবার বিকেলে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় হুগলী-চুঁচুড়া পুরসভার সভাকক্ষে। এখানে পুলিশ কমিশনার অর্নব ঘোষ, বিধায়ক অসিত মজুমদার, পৌর প্রশাসক গৌরিকান্ত মুখার্জী সহ কমিশনারেট ও চুঁচুড়া থানার আধিকারিক এবং শহরের সেইসমস্ত নাগরিকরা হাজির ছিলেন যাদের বাডির বাইরে নিজ উদ্যোগে সিসিটিভি লাগানো রয়েছে। এখান থেকে পুলিশ কমিশনার নাগরিকদের লাগানো সিসিটিভিতে যে কোনরকম সন্দেহজনক অবস্থান নজরে এলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ জানান।

সন্দেহজনক ফুটেজ পাঠানোর জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারও দেওয়া হয়। পুলিশ কমিশনার অর্নব ঘোষ বলেন আমরা চাইছি সর্বদা সিসিটিভিতে নজরদারী চালিয়ে যে কোনরকম অপরাধ কার্যকলাপকে আগেভাগেই রুখে দিতে। এ বিষয়ে পুর প্রশাসক গৌরিকান্ত মুখার্জী বলেন এবার থেকে যারা নতুন সিসিটিভি লাগাবে তাঁদের পুরসভার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কারন আমরা চাইছি কোথায় বা কাদের বাড়িতে সিসিটিভি লাগানো রয়েছে তার একটা তথ্য থাকুক পুরসভার কাছে। যাতে প্রয়োজনে আমরা পুলিশকে সেই তথ্য দিতে পারি।