এই মুহূর্তে জেলা

বিনা দোষে হকার গ্রেফতার, বিক্ষোভ-রেল অবরোধে জেরবার ব্যান্ডেল!

হুগলি, ২৯ নভেম্বর:- ট্রেনের জনা পনেরো হকারদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু কয়েকশো হকারের আন্দোলনের জেরে পিছু হঠতে হলো রেল পুলিশকে। সকলকে ছেড়ে দেওয়ার পরই শান্ত হল এলাকা। সোমবার এমনই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় হুগলীর ব্যান্ডেল স্টেশন সহ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। হকার সূত্রে খবর এদিন চন্দননগর, চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল সহ বেশ কয়েকটি প্লাটফর্ম থেকে হকারদের ধরে ব্যান্ডেল স্টেশন সংলগ্ন আরপিএফ থানায় নিয়ে আসা হয়। বিকেলের দিকে খবর পেয়ে হাওড়া-বর্ধমান ও ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখার অন্যান্য হকাররা আরপিএফ অফিসের সামনে এসে উপস্থিত হয়। সেখানে শসে তাঁরা জানতে পারে জনা ১৫হকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলকেই আদালতে তোলা হবে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পরেন জমায়েতে থাকা হকাররা। সহকর্মীদের ছেড়ে দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ব্যাপক বিক্ষোভের পর রেল পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়ে দেন কোনভাবেই গ্রেফতার হওয়া হকারদের ছাড়া হবে না।

cccএরপর বিক্ষোভরত হকাররা ব্যান্ডেল স্টেশনে গিয়ে লাইনের উপরে দাঁড়িয়ে পরে রেল অবরোধ শুরু করে। বিকেল সওয়া ৫টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধের জেরে প্রায় ২০মিনিট হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইন ও ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে আরপিএফের আধিকারিকরা ধৃত হকারদের ছেড়ে দিতে রাজি হন। পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে। হকারদের বক্তব্য বিনা দোষে আমাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। লকডাউনের সময় হকারি করতে পারিনি। টানা এক বছরের বেশী সময় ধরে আমরা প্রায় বেকার ছিলাম। এখন সবাই ঋনের বোঝায় জর্জরিত। এরপরও আমাদেরকে বিনা কারনে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটাই কি আচ্ছে দিন? এটাই কি গরীবি হঠানো? এর থেকে আমাদের মত গরীবদের বলে দিক আমরা লাইনে শুয়ে পরছি। ট্রেন চালিয়ে দিক। একদিনে সব গরীব শেষ হয়ে যাবে। অন্যদিকে এবিষয়ে রেল পুলিশের কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।