এই মুহূর্তে জেলা

জাঁকজমকভাবেই পালিত হচ্ছে খানাকুলের জগদ্ধাত্রী পূজা।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ১০ নভেম্বর:- রাজ্যে চন্দননগরের পর বিখ্যাত জগদ্বাত্রী পুজো দেখা যায় হুগলির খানাকুলেরর রাজহাটিতে। বন্যাপ্রবণ রাজহাটি শারদোৎসব পালন করে জগদ্ধাত্রী পুজোয়। কেননা প্রায় প্রত্যেক বছরই খানাকুলের ২৪ টা পঞ্চায়েত এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত হয়।এই বছরও তিনবার ভয়াবহ বন্যার শিকার খানাকুল।তাই খানাকুলের মানুষ দুর্গা পুজো বদলে জগদ্বাত্রীপুজোকে শারদ উৎসব হিসাবে বরন করে নেয়।হুগলি জেলার চন্দননগর, রিষড়া, ব্যান্ডেল, ভদ্রেশ্বরেট মতো অত চাকচিক্য ও আলোর কায়দা না থাকলেও হুগলির খানাকুলের রাজহাটির মানুষের কাছে জগদ্ধাত্রী পুজোই বছরের প্রধান উৎসব।তবে মন্ডব সজ্জা ও আলোর রোশনাইয়ে খুব একটা চন্দননগরের থেকে পিছিয়ে নেই খানাকুলের রাজহাটির জগদ্বাত্রী পুজো। এলাকা জুড়ে দুই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে পুজো অসংখ্যা পুজো নজর কারে। বন্যা কবলি খানাকুলে পুজোকে ঘিরে এই অঞ্চলের মানুষের উন্মাদনায় ভাটা পড়েনি।আর্থিক অনটনের মধ্যেও বড়ো বড়ো বিগ বাজেটের পুজো হচ্ছে খানাকুলের রাজহাটিতে।মণ্ডপ, আলোয় বহু ক্ষেত্রেই এ বার চোখে পড়েছে চন্দননগরের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, রাজহাটির প্রায় ৩১০ বছরের প্রাচীন পাড়িয়াল বাড়ির পুজো এবং প্রায় ৫৮ বছরে পা দেওয়া ‘আমরা সবাই’ ক্লাবের পুজো বাদ দিলে গত ১৫ থেকে কুড়ি বছরে সৃষ্টি হয়েছে রয়াল বুলেট, দিশারি, নান্দনিক, অঙ্কুর, কল্পতরু, সৃষ্টি, উদয়ন, অভিনন্দন, নতুন দিগন্ত সহ নানা ক্লাবের বিগ বাজেটের জগদ্বাত্রী পুজো।রাজহাটির এই সমস্ত ক্লাবগুলি জগদ্বাত্রীপুজোর মন্ডব সজ্জায় সামাজিক দায়িত্ব পালনের উপরে জোর দেয়।এই বছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না বলে জানা যায়। কোনও মণ্ডপে পরিবেশ দূষণ, কোথাও স্বাস্থ্য, কন্যাশ্রী, বৃক্ষরোপন ও প্রকৃতি সৌন্দর্য, আদিবাসী পল্লীসহ নানা সামাজিক থিম দেখা যাচ্ছে।এই বিষয়ে রাজহাটি জগদ্বাত্রী পুজো কমিটির এক সদস্য জানান খানাকুলের দু’টি ব্লকের ২৪টি পঞ্চায়েত এলাকাই বন্যাপ্লাবিত। তাই দুর্গাপূজার বদলে জগদ্বাত্রী পুজোকেই এই এলাকার মানুষ বড়ো উৎসব হিসাবে পালন করে।প্রতি ঘরে আত্নীয় স্বজন আসেন।পুজোর চারটে দিন সারা রাত জেগে মানুষ মন্ডব পরিক্রমা করেন।প্রতিটি পুজো মন্ডবে থিমের বাহার যেমন থাকে তেমনি আলোক সজ্জায় সজ্জিত হয়ে ওঠে মন্ডব।সবমিলিয়ে জগদ্বাত্রী পুজোর আয়োজনে রাজ্যের মিনি চন্দননগর হলো হুগলিজেলার রাজহাটি।