হাওড়া, ৮ নভেম্বর:- হাওড়ায় প্রতিদিন প্রায় ৮০০ মেট্রিক টনেরও বেশি বর্জ্য জমা হয়। কিন্তু সেই বর্জ্য সরানোর সুপরিকল্পিত কোনও ব্যবস্থা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ছিলনা। সেই নাজেহাল অবস্থা কাটাতে গত বছর ২০২০ সালে হাওড়া পুরনিগমের ২২ নং ওয়ার্ডে একটি পাইলট প্রোজেক্ট শুরু করা হয়েছিল। সেখানে প্রতিটি বাড়িতে ২টি করে বর্জ্য জমা করার জন্য বিন দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে একটিতে পচনশীল এবং অন্যটিতে থাকবে অপচনশীল দ্রব্য জমা করতে বলা হয়েছিল। এই বর্জ্য বহনের জন্য আনা হয় ব্যাটারিচালিত ছোটগাড়ি। এর পাশাপাশি আনা হয় হাতগাড়ি এবং তিন চাকার সাইকেল ভ্যান। এই গাড়িগুলিই ব্যবহার করা হয় বাড়ি বাড়ি থেকে জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য। আধুনিক শহরগুলিতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট যে পদ্ধতিতে করা হয়ে থাকে হাওড়ায় এতদিন সেই পদ্ধতিতে কাজ হত না। এখানে পুরানো সিস্টেমেই দীর্ঘদিন কাজ হত। হাওড়া শহরে জঞ্জাল সাফাইয়ের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হওয়ায় এবার বর্জ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহারের জন্য নতুন ১১টি গাড়ি আনা হলো হাওড়া পুরনিগমে।
সোমবার সকালে হাওড়া পুরনিগম চত্বরে এক অনুষ্ঠানে এই গাড়িগুলোর উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন পুর প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী, ভাইস চেয়ারপার্সন সৈকত চৌধুরী, দেবাংশু দাস সহ প্রশাসকমন্ডলীর অন্যান্য সদস্যরা। এবিষয়ে পুরনিগম সূত্রে জানা গেছে, ড্রাই ওয়েস্ট এবং ওয়েট ওয়েস্ট সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি যে নীল ও সবুজ রঙের দুটি করে বিন (বালতি) দেওয়া হয়েছিল(যাতে কোনও ময়লা রাস্তায় না পড়ে) সেই কাজে ব্যবহারের জন্য নতুন ৮টি গাড়ি এবং ৩টি হাত গাড়ির এদিন উদ্বোধন হলো। হাত গাড়িগুলি এখন থেকে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে বর্জ্য সংগ্রহের জন্য। পাড়ার ভ্যাটের সামনে গাড়িগুলো থাকবে। পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য গাড়িতে ভরে মেন ভ্যাটে ফেলা হবে। সেখানেও আলাদাভাবে পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য ফেলার সিস্টেম থাকবে। পরিকল্পনা রয়েছে আগামী দিনে কোনও ধরনের বর্জ্যই আর রাস্তায় পড়ে থাকবে না। পরীক্ষামূলকভাবে এই গাড়িগুলো আজ থেকেই কাজে নামানো হচ্ছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে সব ওয়ার্ডেই এই পদ্ধতিতে বর্জ্য সাফাইয়ের কাজ হবে।