হুগলি, ৬ নভেম্বর:- গত বছর বাড়িতেই ভাইফোঁটা নিয়েছিল অরিত্রম ধর, এবার সে রয়েছে সুদূর আমেরিকায়। আমেরিকার ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটিতে অঙ্ক নিয়ে গবেষণা করছে। তাই এবার ভাই ফোঁটায় উপস্থিত থাকতে পারেনি সে। তবে তাকে ফোঁটা দিয়েছে তার বোনেরা। ঝর্ণা তার ভাইকে, রিখিয়া, অস্মিতারা তার দাদা অরিত্রমকে অনলাইনে ফোঁটা দেয়। সারা বছর অন্য জায়গায় থাকলেও ভাইফোঁটার দিন পোলবার সুগন্ধার গ্রামের বাড়িতে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে সব ভাই বোনেরা একত্রিত হয়।ফোঁটার পর চলে খাওয়া দাওয়া। কিন্তু এবার অরিত্রম না থাকায় মন খারাপ ছিল সবার। তবে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত ভিডিও কল করে অরিত্রমকে ফোঁটা দেয় তার বোনেরা। মিস্টি মুখও করায় মোবাইলেই। ভাইফোঁটায় না থাকতে পারায় মন খারাপ অরিত্রমেরও। তবে ভিডিও কলে ভাইফোঁটা দেওয়া দেখে কিছুটা হলেও মন খারাপ ভালো হয় তার।
অরিত্রম মোহালীতে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশান এন্ড রিসার্চে পড়াশুনোর করে আগস্ট মাসে ফ্লোরিডায় যায় গবেষণা করতে। তার বোন রিখিয়া মেদিনীপুরে থাকে। ভাইফোঁটার সময় গ্রামের বাড়িতে আসে। সে বলে, দাদাকে গতবারও ফোঁটা দিয়েছি। এবার মনটা খারাপ ছিল। কারন দাদাকে ফোঁটা দেওয়া হবে না।আমাদের এখানে যখন ফোঁটা চলছে আমেরিকায় তখন গভীর রাত। ফোনে দাদাকে কয়েকবার চেস্টা করেও পাইনি তাই মনটা আরো খারাপ ছিল। পরে দেখি দাদা অনলাইন রয়েছে। তাকে ভিডিও কল করে ফোঁটা দিই। অরিত্রমের বড় মামি তনুজা সরকার বলেন, সারা বছর যে যার কাজে ব্যস্তা থাকে। ভাইফোঁটার দিন সবাই একত্রিত হয়। এবার বড় ছেলে না থাকায় মন খারাপ ছিল সবার। অরিত্রমের ডাক নাম পুকাই। পুকাই বাড়িতে থাকলে খুব মজা করে ভাই বোনেদের সঙ্গে, খেতেও ভালোবাসে খুব তাই মন খারাপ হবে স্বাভাবিক। তবে মন খারাপ দূর হয়ে যায় প্রযুক্তির মাধ্যমে। এখন দূরের মানুষও কাছে হয়ে যায়। অরিত্রমকে যেমন পাওয়া গেলো অনলাইনে।