এই মুহূর্তে জেলা

চিরাচরিত রীতি মেনে বেলুড় মঠে কালীপুজো।

হাওড়া, ৪ নভেম্বর:- চিরাচরিত প্রথা মেনে বেলুড় মঠেও কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এই পুজোর শুরু সম্পর্কে জানা গেছে, অনেক দিন আগের কথা। ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব শ্যামপুকুর জয়রামবাটিতে ছিলেন। সেই সময় কালীপুজোর একদিন সেখানে পৌঁছান স্বামী বিবেকানন্দ। সেখানেই ঠাকুরকে কালীরূপে পুজো করেন স্বামীজী। তারপর স্বামিজী বেলুড় মঠ তৈরির পরে সেখানে শুরু করেন কালীপুজো। এরপর থেকেই চলে আসছে বেলুড় মঠের শ্যামাপূজা। বছরে ৪ বার কালী পুজো হয়ে থাকে এই চারদিন হলো ফলহারিনী কালী পুজো, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্মতিথি, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথি এবং দীপান্বিতা অমাবস্যায়।

এরমধ্যে ফলহারিনী কালী পুজো, রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি, এবং স্বামীজীর জন্মতিথিতে ঠাকুরের মূর্তিতে পুজো হয়ে থাকে। দীপান্বিতা অমাবস্যায় হয় শ্যামাকালীর মূর্তি পূজা। সারারাত ধরে এখানে চলে এই পুজো। সারারাত ধরে চলবে বেলুড় মঠের কালীপুজো। উল্লেখ্য, কালীপুজো ও দীপাবলি উপলক্ষে এবার আলোকে সেজে উঠেছে বেলুড় মঠ। রঙিন আলো দিয়ে মঠ চত্বর সাজানো হয়েছে। রংবাহারি আলপনা আঁকা হয়েছে মূল মন্দিরের কালীপুজো স্থানে। শ্যামাপূজা উপলক্ষে বেলুড় মঠ অন্যান্য দিনের মতোই ভক্তদের জন্য সঠিক সময়ে খোলা রাখা হয়েছিল।