এই মুহূর্তে জেলা

বেড়েছে মাটির প্রদীপের চাহিদা, খুশি কুমোরপাড়া!

সুদীপ দাস, ২ নভেম্বর:- বিগত কয়েকবছরে এলইডি ও মোমবাতির দাপটে তলানিতে ঠেকেছিলো মাটির প্রদীপের চাহিদা। কিন্তু একটা সময় কালী পুজোর বাজারে মাটির প্রদীপের ব্যাপক চাহিদা ছিলো। দীপাবলিতে যে প্রদীপ প্রত্যেলটি বাড়িতে জ্জ্বলতো। যা ভারতীয়দের কাছে একটা ঐতিহ্যে পরিনত হয়েছিলো। কিন্তু সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রথমে মোমবাতি ও বর্তমান সস্তার এলইডির বাজারে মাটির প্রদীপের সেই ঐতিহ্যকেই ভূলতে বসেছিল বাঙালী। বিগত কয়েক বছর যার প্রভাব শিখরে পৌঁছেছে। ফলে কালী পুজোর আগে মাটির প্রদীপের চাহিদা একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল। কিন্তু আবারও মাটির জিনিসের চাহিদা বাড়ছে।

এমনটাই দাবী কুমোপাড়ার শিল্পীদের। চুঁচুড়া তুলাপটি ঘাট সংলগ্ন গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় বেশকিছু পরোবার রয়েছেন। যাদের জীবনজীবিকার মাধ্যম বলতে মাটির হাঁড়ি, ঘট, ভাঁড় প্রভৃতি সামগ্রী তৈরী করা। কালী পুজোর আগে মাস দুয়েক ধরে এই সমস্ত পরিবারগুলি মাটির প্রদীপের জন্য নাওয়া-খাওয়া ভুলতেন। কিন্তু বিগত বছরগুলিতে সেসব সময় ইতিহাসে পরিনত হয়েছে। বিগত কয়েক বছর মাটির প্রদীপের চাহিদা বলতে যৎসামান্য হয়ে উঠেছিলো। ঐতিহ্য রক্ষার্থে বাড়িতে একটি কি দুটি ছোট মাটির প্রদীপ জ্জ্বালানোই রিতী হয়েছিলো।

কিন্তু কুমোরপাড়ার বক্তব্য এবছর মাটির প্রদীপের চাহিদা বেড়েছে। তুলাপটি এলাকার এক মৃৎশিল্পী বিজয় পন্ডিত বলেন এবছর মাটির প্রদীপের চাহিদা তুঙ্গে রয়েছে। আমরা জোগান দিতে পারছি না। পাশাপাশি চা দোকানেও মাটির ভাঁড়ের চাহিদা বেড়েছে। মাটির জিনিস তৈরীর উপকরনের বাড়লেও চাহিদা থাকায় আমরা জোগান দিয়ে চলেছি। আর এক শিল্পী দুর্গা পন্ডিত বলেন কালী পুজোয় বাঙালীর বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্জ্বালানো একটা পুরাতন ঐতিহ্য। তবে মাঝে বৈদ্যুতিক আলো ও মোমবাতি সেই ঐতিহ্যে সত্যিই ভাটা ফেলেছিলো। তবে এবছর তুলনামূলক চাহিদা বেড়েছে।