সুদীপ দাস, ২৬ অক্টোবর:- কারসাজি করে ব্রহ্মচারিণীর টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠলো এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ব্রহ্মচারিণী অঞ্জুদিদি আগে থাকতেন রিষড়ায়। পরবর্তীকালে তিনি চলে যান বৃন্দাবনে। সেখানে আশ্রমে থাকতেন। বেড়াতে গিয়ে অঞ্জু দিদির খোঁজ পায় ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা অমল শীল। রিষড়ায় থাকাকালীন এই ব্রহ্মচারিণী শরীর অসুস্থতার কারনে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সেই সময় হাসপাতালে চাকরি করত অমলের মা। তখন থেকেই আলাপ।অমল ছিল ছোটো। সে বড় হতেই অঞ্জুদিদির খোঁজ করতে থাকে। বৃন্দাবনে খুঁজে পাওয়ার পর তাকে নিয়ে আসে উত্তর ২৪ পরগনার নবাবগঞ্জে ভাড়া বাড়িতে। দুই গুরুভাই এর আট হাজার টাকা অমলের একাউন্টে আসতে থাকে প্রতি মাসে। অঞ্জু দিদির ব্যাংক একাউন্ট নিজের নামে করে নেয় অমল।
সে আবার নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দেয়।চিকিৎসা করে দেয়ার নাম করে নিয়ে এলেও কোনো ব্যবস্থা করেনি। কিছুদিন ঘরভাড়া চার হাজার টাকা দেওয়ার পর বন্ধ করে দেয়। আর বাকি চার হাজার টাকা গায়েব করতে থাকে প্রতারক অমল। অমল নবাব গঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে থাকে। এই খবর জানতে পারে অমলের দাদা শ্যামল। সে অঞ্জু দিদিকে নিয়ে চলে আসে ভদ্রেশ্বরে ভাড়া বাড়িতে রয়েছে ব্রহ্মচারিণী। অমলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি। কিন্তু অমল পালিয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত তিন লাখ উনত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছে প্রতারক। আট হাজার টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে নিচ্ছে সে। এই অবস্থায় কঠিন সমষ্যার মধ্যে রয়েছেন ব্রহ্মচারিণী অঞ্জু দিদি। তিনি চাইছেন টাকা উদ্ধার করে দেওয়া হোক।