এই মুহূর্তে জেলা

পেট্রোল-ডিজেলের সেঞ্চুরিতে নাভিশ্বাস আমজনতার।

হুগলি, ২৫ অক্টোবর:- সোমবার সকালে হুগলি জেলার গোঘাটের বেলি এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পে দেখা যাচ্ছে লিটার প্রতি পেট্রোলের মূল্য ১০৮ টাকা ৮৩ পয়সা ও ডিজেল ১০০ টাকা ১১ পয়সা। ফলে নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার। ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষ।জুলাইয়ে সেঞ্চুরি করেছিল পেট্রোল।তার তিন মাসের মধ্যে একশোর গণ্ডি পার করল ডিজেলও।এই মূল্যবৃদ্ধির জের যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামেও পড়বে সে কথা বলাই বাহুল্য। এখনই কাঁচা আনাজ, মাছ-মাংস অগ্নিমূল্য। দাম বেড়েছে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীরও। বেড়েছে যাতায়াতের খরচও। রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির জেরে ঘোরতর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।পেট্রোলের দামে সর্বকালীন রেকর্ড। গোটা দেশেই এক পরিস্থিতি। বিশ্ব বাজারে দাম আগের তুলনায় কম হলেও, ভারতে ঊর্ধ্বমুখী পেট্রোপণ্যের দাম। এই অবস্থায়, ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা সাধারণ মানুষের। একে একে পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় পেট্রোলের দাম সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ১০০ টাকা পেরিয়ে গেছে।

পাশাপাশি ডিজেলেরও দাম সেঞ্চুরি পার করলো।পাম্পে মোটর বাইকে পেট্রোল ভরতে আসা এক যুবকের দাবী,কার্যত গোটা দেশেই এখন এই অবস্থা। যা কোনওদিন হয়নি এখন তাই হচ্ছে। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা  সহ চেন্নাই, দেশের চার মেট্রো শহরেই সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে পেট্রোল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। ডিজেলেও দাম এবার সেঞ্চুরি পার করলো। কিন্তু, বিশ্ব বাজারে দাম আগের তুলনায় কম হওয়া সত্ত্বেও, ভারতে পেট্রেপণ্যের দাম কেন লাগাতার উর্ধ্বমুখী? জানা গেছে, ইউপিএ সরকারের তুলনায় পেট্রোলের ওপর এক্সাইজ ডিউটি প্রায় ৮০০ শতাংশ বেড়েছে। আর ডিজেলের ওপর বেড়েছে প্রায় আড়াইশো শতাংশ। গত বছর লকডাউনের সময়, বিশ্বজুড়ে পেট্রোপণ্যের চাহিদা কমে যায়। বিশ্ববাজারে কমে অপরিশোধিত তেলের দাম। কিন্তু, সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের উপর এক্সাইজ ডিউটি বাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এই অবস্থায়, পেট্রোপণ্যের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।এই বিষয়ে আরামবাগের পৌরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী বলেন, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে।মানুষের বাঁচা দায় হয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানো দরকার।সবমিলিয়ে এখন দেখার সাধারণ দেশবাসীর স্বার্থে প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয়।