এই মুহূর্তে জেলা

খানাকুলের ভট্টাচার্য বাড়ির ঐতিহ্যবাহি কালিপুজোকে ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ২৪ অক্টোবর:- হুগলি জেলার খানাকুলের ভট্টাচার্য বাড়ির ঐতিহ্যবাহি কালিপুজোকে ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস। আর কয়েকদিন পরেই কালি পুজো। ৫০১ বছর ধরে রীতিমেনে পুজোপাঠ হয়ে আসছে খানাকুলের ভট্টাচার্য বাড়ির দক্ষিনা কালির ।কথিত আছে ৫০১ বছর আগে খানাকুলের রাধাবল্লভপুরে সন্ধ্যাবেলা একটি মেয়ে কালি মন্দিরে সন্ধ্যা দেখাতে এসে অদৃশ্য হয়ে যায়। চারিদিকে খোঁজা খুঁজি করেও মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়ায় যায়নি।অবশেষে মন্দিরে এসে গ্রামের এক জন প্রথম দেখেন মা কালির মুখ থেকে লাল কাপড়ের টুকরো ঝুলছে।তখন গোটা গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে মন্দিরে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।পরে গ্রামের প্রবীন পুরোহিত ঠাকুর মায়ের মন্দিরে গিয়ে বুঝতে পারেন। সন্ধ্যা দেখাতে এসে মেয়েটি মন্দিরে অনিয়ম করার জন্য মা কালি তাকে ভক্ষন করে।এরপর গ্রামের মানুষ ও মায়ের মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতারা সিদ্ধান্ত নেয় এই মাকে বনে রেখে আসা হবে।

মন্দিরের পাশে বিশাল কচুবনে মাকে ফেলে আসা হয়। তার কিছু দিন পর খানাকুলের কৃঞ্চ নগরের তপোসী কনাদ স্বপ্না দেশ পান। তিনি মা কালিকে উদ্ধার করে দক্ষিনা কালিরুপে প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে রীতি মেনে পুজো শুরু হয়। এই বিষয়ে ভট্টাচার্য বাড়ির এক সদস্য বলেন এটি রাধাবল্লভপুরে প্রথম জমিদার বংশের লোকেরা পুজো করতেন। তবে বংশপরম পরায় জানা গেছে, ওই জমিদার বংশের একটি মেয়ে মন্দির থেকে অদশ্য হয়ে যাবার পর মা কালিকে কচু বনে ফেলে দেওয়ায় হয়। আমাদের বংশের তপশ্রী কনাদ মা কালিকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে আবার পুজো শুরু করেন।বর্তমানে মায়ের তিন জায়গায় পুজো হয়। কৃষ্ণনগর, সেকেন্দারপুর ও বসন্তপুরে মা কালির আরাধনা হয়। সব মিলিয়ে মায়ের পুজোয় যাতে কোনও খুত না থাকে সেই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখেন ভট্টাচার্য পরিবার। আর বৈদিক রীতি মেনে সমস্ত নিয়ম মেনে নিষ্ঠাভরে মা কালির পুজোর প্রস্তুতি চলছে খানাকুলের ভট্টাচার্য বাড়িতে।