এই মুহূর্তে জেলা

বারবার বন্যায় বিপর্যস্ত খানাকুল , আর্থিক সংকটে চাষীরা।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ২৩ অক্টোবর:- বার বার বন্যায় বিপর্যস্ত হুগলি জেলার খানাকুল। ২০২১ সালের বন্যায় সব হারিয়ে নিঃস্ব খানাকুলের বিস্তৃর্ন এলাকার মানুষ। একদিকে ঘর বাড়ি থেকে শুরু করে দোকানপাঠ সব ধ্বংস হয়ে গেছে অন্যদিকে কশেকশো বিঘা বষাকালীন ফসল ও বর্ষাকালীন আমোন ধানের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। আর্থিক সংকটে খানাকুলের চাষী মহল।কিভাবে সংসার চলবে সেই চিন্তায় রাতে পর রাত ঘুম নেই। চোখে মুখে হতাশা আর কান্নার ছাপ।বন্যার জলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ধানের ক্ষেতের দিকে তাকানো যায় না। বিঘার পর বিঘা জমির ফসল ও ধান পচে গিয়ে শুকিয়ে পড়ে রয়েছে। সবজি ফসলের জমিগুলিতে নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। আর ধান জমিগুলিতেও শুকিয়ে ধানগাছগুলি কর্মার্দ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চারিদিকে ধ্বংসের দৃশ্যা। চাষীরা মাথায় হাত দিয়ে জমি পানে চেয়ে বসে রয়েছে।

চোখ অশ্রু নিয়ে সরকারের কাছে একটাই আবেদন তাদের জমির ফসল নষ্ট হয়েছে তাই সরকার চাষীদের স্বার্থে বাস্তবমুখি কিছু প্রকল্প এবং পরিকল্পনা করুক যাতে চাষীরা ছেলে মেয়েদের নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে। এই বিষয়ে খানাকুলের চক্রপুর এলাকার চাষী, বিকাশ রাহা জানান, দুই বার বন্যার পর ধান গাছগুলো বেঁচে ছিলো। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যে আবারও বন্যা হয়ে যাওয়া সব ধান জমি ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। কোনও ফসল আর উদ্ধার করা গেলো না।কি করে সংসার চলবে সেই ভাবনায় ঘুম হচ্ছে না। অপরদিকে খানাকুলের বিস্তৃর্ন এলাকায় বন্যার জলে ঘরবাড়ি ভেঙে ভয়াবহ পরিস্থিতি। জল কমলেও চারিদিকে কেবল ধ্বংসের চিত্র। মাটির বাড়িগুলির পাশাপাশি পাকার বাড়ি গুলো বন্যার জেড়ে পড়ে গিয়ে সর্বশান্ত বন্যা দুর্গত মানুষ।

এই বিষয়ে বন্যা দুর্গতরা জানান, ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছি।বৃষ্টির নাম শুনলেই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাছি। পাশাপাশি এক মহিলা বলেন,বন্যার জলে ঘর ভেঙে গেছে। ত্রিপল খাঁটিয়ে কোনও রখমে বাস করছি। বসবাসের জন্য একটা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি। যদিও এই বিষয়ে খানাকুলের কিশোরপুর দুই নম্বর অঞ্চলের প্রধান দীপেন মাইতি জানান, বন্যা হলে কিছু করার নেই। বাঁধটা রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু হয়নি। এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। পঞ্চায়েত থেকে সকলকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে ২০২১ সালের সর্বগ্রাসী বন্যার ভয়াবহ রুপের ভয়ংকর দিক এখনও খানাকুলসহ আরামবাগ মহকুমার বিস্তৃর্ন এলাকায় বিরাজমান।