এই মুহূর্তে জেলা

খোদ ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রুগীর পরিবারের হাতে দেওয়া হলো মেয়াদ উত্তীর্ণ রক্ত।

সুদীপ দাস,৯ অক্টোবর:- খোদ ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রুগীর পরিবারের হাতে দেওয়া হলো মেয়াদ উত্তীর্ণ রক্ত। রুগীকে সেই রক্ত দিতে গিয়েই বিষয়টি নজরে আসে কর্তব্যরত নার্সের। নার্সের কাছ থেকে জেনেই রক্তের প্যাকেট হাতে রগীর পরিবার হাসপাতাল সুপারের দ্বারস্থ। সুপারের হস্তক্ষেপে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নতুন রক্ত দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হল রুগীকে। শনিবার এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালো হুগলির সদর হাসপাতালে। রুগীর পরিবার সূত্রে খবর মগরার কুন্তিঘাটের বাসিন্দা পেশায় ফুল ব্যবসায়ী প্রশান্ত চৌধুরীর একমাত্র পুত্র সন্তান আর্য। বছর দশের আর্য থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। প্রতি মাসেই আর্যকে হাসপাতালে নিয়ে এসে রক্ত দিতে হয়। সেইমত দিন কয়েক ধরে ছেলের রক্তের জন্য চুঁচুড়া হাসপাতাল দহ অন্যান্য ব্লাড ব্যাঙ্কে ঘুরছিলেন প্রশান্তবাবু। কিন্তু ছেলের বি-নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত মিলছিলো না। এরপর চুঁচুড়া হাসপাতালের কথামত প্রশান্ত চলতি মাসের ৭তারিখ একজন বি-নেগেটিভ গ্রুপের রক্তদাতাকে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেই দাতা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে এক ইউনিট রক্ত দান করেন।

কথা ছিল দান করা সেই রক্তর সমস্ত রকম পরীক্ষা করে আর্যর শরীরে দেওয়া হবে। কথামত শনিবার প্রশান্ত আর্যকে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর নার্সের কাছ থেকে রিকুইজিশন নিয়ে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে এক ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করেন প্রশান্ত। প্রশান্তর কাছ থেকে সেই রক্ত নিয়ে আর্যর শরীরে পরিচালন করার আগেই দেখা যায় রক্তের ইউনিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। সেখানে মেয়াদের শেষ তারিখ দেওয়া রয়েছে ৫ই অক্টোবর ২০২১। কর্তব্যরত নার্স সাথে সাথে সেই রক্ত শিশুর শরীরে দিতে অস্বীকার করেন। এরপর প্রশান্ত সেই রক্তের প্যাকেট নিয়ে সোজা চলে যান হাসপাতাল সুপার উজ্জ্বলেন্দু বিকাশ মন্ডলের কাছে। সুপারের হস্তক্ষেপে আর্যকে নতুন প্যাকেটের রক্ত দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়। এবং মেয়াদ উত্তীর্ন ওই প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করে সুপার বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রশান্তবাবু জানান। তবে প্রশ্ন একটাই রক্তের মত এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে এভাবে কি করে ভুল হতে পারে! প্যাকেটটি খতিয়ে না দেখার মত ভূল যদি কর্তব্যরত নার্সও করতেন! তাহলে এই গাফিলতির দায় কে নিত ?