হুগলি, ৪ অক্টোবর:- পুজোর পরেই খুলছে কলেজ, তাই রাজ্যজুড়ে কলেজে কলেজে ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচি। ছাত্র ছাত্রীদের করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচাইতে এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের। করোনার কারনে গত দু বছরে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে পড়ে। সরকারের উদ্যোগে বর্তমান সময়ে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল। পুজোর পরেই যাতে কলেজগুলি খোলা যায় তার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। বিভিন্ন ধাপে ভ্যাক্সিন প্রদানের পর এবার কলেজ পড়ুয়াদের ভ্যাক্সিনেশন করার কাজ শুরু হলো। সোমবার হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি কলেজে এক যোগে ভ্যাক্সিনেশন প্রদান শুরু করা হয়। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে কলেজ পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরা। ভ্যাক্সিন নেওয়ার জন্য সকাল থেকে জেলার কলেজে কলেজে পড়ুয়াদের উপচে পড়া ভীড়। পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দিতে যাতে অসুবিধা না হয় সেই জন্য প্রতিটি কলেজে সাত থেকে এগারো টি কাউন্টার খোলা হয়।
হুগলি জেলার সবকয়টু কলেজেই পুজোর আগে সমস্ত কলেজ পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জেলায় শুরু হয়েছে ভ্যাক্সিনেশন কর্মসূচি। এই বিষয়ে আরামবাগের গার্লস কলেজে ভ্যাকসিন নিতে আসা এক ছাত্রী জানায়, কলেজে কলেজে এই ভ্যাকসিন কর্মসূচি হওয়ায় আমরা খুবই খুশি। হাসপাতালে দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন মিলছিলো না। নিজেদের কলেজে ভ্যাকসিন নিতে পেরে ভালো লাগছে। অপরদিকে পৌরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী বলেন, পুজোর পরই কলেজে পঠন পাঠন শুরু হবে। তাই ছাত্র ছাত্রীদের করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে ভ্যাকসিন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, আরামবাগের নেতাজী মহাবিদ্যালয় ও আরামবাগ গার্লস কলেজের পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এদিন এলাকার কলেজ পড়ুয়ারা সামাজিক দুরত্ব মেনে ভ্যাকসিন নেয়। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকার কলেজগুলিতে জল কমলে ভ্যাকসিন কর্মসূচি করা হবে বলে জানা গেছে।তবে পুজোর আগেই জেলার সব কলেজে ভ্যাকসিন কর্মসূচি সম্পুর্ন করতে বদ্ধপরিকর বলে জানা গেছে। সবমিলিয়ে এদিন কলেজে কলেজ ভ্যাকসিন কর্মসূচি হওয়ায় খুশি ছাত্র ছাত্রীরা।