কলকাতা, ২ অক্টোবর:- অতিমারি আবহে গত বছরের পরে এবছরও ভার্চুয়াল মাধ্যমেই পুজো উদ্বোধনের উপর জোর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবছর কলকাতা ও জেলার অসংখ্য পুজোর উদ্বোধনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জমা পড়ে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে দূরের পুজোর উদ্বোধন করলেও করোনা পূর্ব যুগে কলকাতা ও হাওড়ার অনেক বড় পুজো গুলি সশরীরে মণ্ডপে গিয়েই উদ্বোধন করতেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর থেকে মহামারীর প্রকোপে সেই রীতিতে ছেদ পড়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই সে বার পুজোর উদ্বোধন পর্ব সারেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারেও সেই নতুন রিতিরই পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে খবর এপর্যন্ত তাদের কাছে পুজো উদ্বোধনের দুহাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলি ঝাড়াই-বাছাই করে মুখ্যমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তারপরে কবে থেকে কিভাবে এইসব পুজোর ফিতে কাটবেন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি নিজেই। প্রতিবছর মহালয়ার দিন থেকেই পুজোর উদ্বোধন শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মহালয়ার দিন যত এগিয়ে আসছে মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধন নিয়ে ততই আগ্রহ এবং উৎকণ্ঠা বাড়ছে উদ্যোক্তাদের মধ্যে। তবে এখনো পর্যন্ত যা খবর তাতে মুখ্যমন্ত্রী এবছরও অধিকাংশ পুজোর উদ্বোধন করবেন ভার্চুয়াল মাধ্যমেই। গত বছরের মতো এ বছরও নবান্ন সংলগ্ন নবান্ন সভাঘর থেকে তিনি পুজোর উদ্বোধন করবেন এরকম ইঙ্গিত পেয়ে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।
তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় নবান্ন সভাঘর কে ওই অনুষ্ঠানের উপযুক্ত করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর সূত্রে খবর, নবান্ন সভাঘরে পুজোর আমেজ নিয়ে আসতে অন্দরসজ্জায় প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ যুক্ত করা হচ্ছে। ঢাকি থেকে ধুনুচি নাচ, কাশফুল থেকে কলা বউ পুজোর সমস্ত অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ গুলি থাকছে সেখানে। মঞ্চসজ্জা ব্যবহার করা হচ্ছে মঙ্গলঘট, চাঁদমালা, আম্রপত্র, শঙ্খ, কাঁসর ইত্যাদি। পুজোর মেজাজ আনতে শিশির ভেজা শিউলি, কাশফুল, নীল আকাশ, পেজা তুলো মেঘ এসবও থাকবে ভার্চুয়াল ভাবে। অনুষ্ঠানের মেজাজের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সুসজ্জিত থালি গার্ল রাও থাকছেন। সমগ্র অনুষ্ঠান ফেসবুক লাইভ টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করার জন্য পেশাদার সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রীর সবুজসংকেত মিললেই উদ্যোক্তাদের উদ্বোধনের দিন ক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে বলে তথ্য দপ্তর এর কর্তারা জানিয়েছেন।