কলকাতা, ২৯ সেপ্টেম্বর:- অতিমারি কালেও অর্থনীতির অগ্রগতিকে অব্যাহত রেখে নতুন নজির তৈরি করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই সময় যেখানে দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি ঋণাত্বক অংকে পৌঁছে গিয়েছে সেখানে জিডিপি বৃদ্ধিতে নতুন রেকর্ড তৈরি করল বাংলা।করোনা দেশের সমস্ত রাজ্যের মধ্যে গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তামিলনাড়ুর পরই রয়েছে এ রাজ্য। লকডাউনের মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মসূচিকে অব্যাহত রেখে এবং বিভিন্ন প্যাকেজ ও সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে মাধ্যমে মানুষের হাতে নগদ টাকার যোগান বজায় রাখার নীতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। গর ১.২ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির পিছনে এই নীতির কৃতিত্ব স্বীকার করছেন অর্থনীতিবিদরা। জিডিপি বৃদ্ধির নিরিখে রাজ্যের এই সাফল্যের প্রশংসা করেছেননীতি আয়োগ প্রধান অমিতাভ কান্ত।
২০২০-২১ আর্থিক বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অর্থনীতির রাজ্যগুলির মধ্যে এই গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের মতো জিডিপিতে এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজ্যের মোট উৎপাদন বা জিডিপি’র পরিমাণ প্রায় ১৩ লক্ষ কোটি টাকা। তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা বেশি। গত আর্থিক বছরে দেশে বৃদ্ধির হার ছিল মাইনাস ৭.৩ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গে বৃদ্ধির হার ১.০২ শতাংশ। অর্থাৎ কেন্দ্রের থেকে প্রায় আট শতাংশ এগিয়ে। বাজেটে ৯০ হাজার কোটি টাকা পরিকল্পনা খাতে খরচের যে সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছেন, তার ৮৫ শতাংশই মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। পরিকাঠামো তৈরির পাশাপাশি এই পদক্ষেপ ম্যাজিকের মতো কাজ করেছেঅর্থ দফতর সূত্রে খবর, ২০২০-২১ শুধু তামিলনাড়ু এবং পশ্চিম বঙ্গের জিডিপির বৃদ্ধি হয়েছে। বাকি রাজ্যগুলি মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, এবং রাজস্থানে জিডিপি কমেছে। তামিলনাড়ুর জিডিপি বেড়েছে ২ শতাংশের কিছু বেশি হারে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলার জিডিপি বেড়েছে ১.২ শতাংশ হারে। যদিও দেশের সার্বিক জিডিপি ৭.৭ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। তবে শুধু বাংলা নয়। বিহার, ত্রিপুরা এবং সিকিমও জিডিপি বৃদ্ধির মুখ দেখেছে।