আরামবাগ, ২২ সেপ্টেম্বর:- সাত সকালেই চুরির খবরে চাঞ্চল্য আরামবাগে। ঘরের তালা ভেঙে চুরি করে চম্পট দুষ্কৃতিদের। এবার সাংবাদিকের ঘরেই চুরি দুষ্কৃতিদের। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। রাতের অন্ধকারে ফাঁকা ঘরের ঢুকে তান্ডব দুষ্কৃতিদের। মুল ঘরের ভিতর থেকে লক করা থাকায় ঘরের ভেতর প্রবেশ করতে পারেনি দুষ্কৃতিরা। তবে বাড়ির বারান্দায় থাকা জলের টুলু পাম্প চুরি করে চম্পট দুষ্কৃতিদের। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ এলাকার মানুষের। প্রসঙ্গ ক্রমে উল্লেখ্য আরামবাগে চুরি ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে। কিন্তু আরামবাগ শহরের ভেতরে এত চুরির ঘটনা কিভাবে ঘটছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনের পর দিন চুরির ঘটনা ঘটছে। দুই একজন ধরা পড়লেও আরামবাগ শহরে চুরি বন্ধ হয়নি।এই নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ স্থানীয় মানুষের। জানা গিয়েছে, এদিন সাংবাদিকের বাড়িতে রাতের বেলা কেউ থাকেনি।
সকালে এসে চুরির ঘটনা দেখার পর জানাজানি হয়। তবে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। আরামবাগে ফাঁকা বাড়িতে চুরির ঘটনা আগেও বহুবার ঘটেছে। কিন্তু চুরির কিনারা হয়নি। ফাঁকা বাড়িতে সুযোগ বুঝে তালা চাবি ভেঙে চুরি করার প্রবনতা আরামবাগে বাড়ছে বলে অভিযোগ। এই চুরি চক্রের হদিশ পেতে পুলিশের কড়া ভুমিকা গ্রহন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকার বিশিষ্ট জনেরা। এই বিষয়ে ববি সরকার নামে বাড়ির মালিক জানান, সকালে এসে দেখি তালা চাবি ভেঙে চুরি হয়েছে। বেশি কিছু ক্ষতি না হলেও টুলু পাম্প চুরি হয়েছে। মুল দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলে বহু ক্ষতি হয়ে যেতো। তবে আরামবাগ শহরে বাড়িতে লোক না থাকলেই চুরি হয়। তবে এলাকার মানুষের দাবী চুরি ও ডাকাতি বন্ধ করতে হলে পুলিশকে সবার আগে করা নজরদারি চালানোর পাশাপাশি আইনত কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এখন দেখার আরামবাগ শহরে চুরি বন্ধ করতে প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয়।