হাওড়া , ১৩ মে:- বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা করে মানুষের পাশে থাকা, এবং পুর পরিষেবা সঠিকভাবে মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে হাওড়া পুরসভায় পুর প্রশাসকমন্ডলী গঠন করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পুর প্রশাসকমন্ডলী গঠনের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হাওড়া পুরসভায় প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হল বৃহস্পতিবার দুপুরে। চেয়ারপার্সন অরূপ রায়ের পৌরোহিত্যে এদিন ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বোর্ডের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এদিন অরূপ রায় বলেন, বুধবার রাতেই আমরা অর্ডারটি জানতে পারি। আজকে সেই কারণেই এই বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স এর প্রথম বৈঠক করলাম। জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, পুর কমিশনার থেকে শুরু করে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের সব সদস্যরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব মজুমদার এদিনের বৈঠকে আসতে পারেননি। আমরা আজকের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এদিন পুরসভায় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অরূপ রায় বলেন, “বুধবার রাতেই আমরা অর্ডারটি জানতে পারি। আজকে সেই কারণেই এই বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স এর প্রথম বৈঠক করলাম। জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, পুর কমিশনার থেকে শুরু করে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের সব সদস্যরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব মজুমদার এদিনের বৈঠকে আসতে পারেননি।
আমরা আজকের বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। হাওড়ায় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা চলছে। রেড ক্রসের সম্পাদক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী আমাদের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁরা মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার হল করতে চাইছেন হাওড়ার মহেশ ভট্টাচার্য হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে। কোভিডের বাইরে যদি কোনও মহিলা ও শিশুদের অসুস্থ হয় তাদের সেখানে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। তাঁদের চিকিৎসকদের টিম এই কাজ দেখভাল করবেন। এদিনের বৈঠকে এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন জেলাশাসক। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও হাওড়া পুরসভার যে ৩,৬০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন তাঁরা বর্তমানে এই কোভিড পরিস্থিতিতে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে থেকে ডোর টু ডোর কাজ করবেন।” অরূপ রায় এদিন আরও বলেন, “গোলাবাড়ির আইএলএস, উলুবেড়িয়ার সঞ্জীবন, বালিটিকুরি ইএসআই কোভিড হাসপাতালে বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেফ হোম চালু করা হচ্ছে। উত্তর হাওড়ার আলো বিল্ডিংয়েও সেফ হোম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” অরূপ রায় বলেন, “এদিনের বৈঠকে কনজারভেন্সি, ড্রিঙ্কিং ওয়াটার নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। এছাড়া জল জমার সমস্যা যাতে দূর করা যায় সেই নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাকি অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে যাতে কাজ শুরু করা যায় সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বালিটিকুরি ইএসআই হাসপাতালে সমস্যা ছিল। ওখানে সুপার বদল করা হয়েছে। নতুন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর করা হয়েছে। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি ওখানকার স্থানীয় বিধায়ককে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করে দেখভাল করতে।” অরূপ রায় আরও বলেন, “হাওড়ায় যেসব এলাকায় এখনও জল জমে আছে সেখানে পাম্প বসিয়ে জল বের করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষ যাতে সঠিক পুর পরিষেবা পায় তারজন্যই মুখ্যমন্ত্রী হাওড়া পুরসভায় বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স তৈরি করেছেন।”