এই মুহূর্তে জেলা

মেয়ের সাথে বচসার পরই রহস্যজনক মৃত্যু মায়ের, তবে কি খুন? মেয়েকে হেফাজতে নিয়ে তদন্তে পুলিশ।

সুদীপ দাস, ৭ সেপ্টেম্বর:- নিজের মেয়ের সাথে বচসার পরই মায়ের রহস্যজনক মৃত্যু! ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষন নিখোঁজ মেয়ে। রাতে বাড়ির কাছ থেকেই আটক মেয়ে। মায়ের মৃত্যুর কারন জানতে মেয়েকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর চুঁচুড়া থানার অন্তর্গত আয়মাডাঙ্গা এলাকায়। মৃতের নাম দোলন ঘোষাল (৬৭)। অভিযুক্ত মেয়ের নাম ইন্দুবালা ঘোষাল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাক্তন স্কুল শিক্ষিকা দোলন তাঁর স্বামী প্রাক্তন কোল ইন্ডিয়ার কর্মী গৌর ঘোষালের সাথে আয়মাডাঙ্গা এলাকায় নিজেদের বাড়িতে থাকেন। তাঁদের একমাত্র মেয়ে বছর ৩৮এর ইন্দুবালার বিয়ে হয় চন্দননগরে। স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলায় বেশকিছুদিন ধরেই ইন্দুবালা মানসিক অবসাদে ভূগছিলেন। মামলার পর থেকে আয়মাডাঙ্গায় বাবা-মায়ের সাথেই থাকতেন ইন্দুবালা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার অস্বাভাবিক আচরন শুরু করেছিলো ইন্দু।

এমনটাই দাবী স্থানীয়দের। মাঝেমধ্যেই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতেন। সোমবার সন্ধ্যায় গৌরবাবু হাঁটতে বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু রাতে ঘড়ে ফিরে দেখেন দোতলার মেঝেতে দোলন পরে রয়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নীচে থাকা ভাড়াটিয়াকে জিজ্ঞাসা করতেই ওই ভাড়াটিয়া জানায় ইন্দুকে বাড়িতে এসেছিলো। আমি প্রচন্ড জোড়ে দরজা বন্ধ করার আওয়াজ পেয়েছি। তার কিছুক্ষন পরই বাড়ি থেকে ইন্দুকে বেড়িয়ে যেতে দেখেছি। পরে দোলনের কোন সাড়া না পেয়ে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে দোলনকে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ির সামনে থেকেই ইন্দুকে আটক করে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারন জানাতে নারাজ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। মেয়ের হাতেই খুন না অন্য কোন রহস্য; ইন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কারন জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।