এই মুহূর্তে জেলা

মৃৎশিল্পীদের শিল্পীভাতা ও সরকারি ঋণের ব্যাবস্থা করুক সরকার , এমনই দাবি আরামবাগের শিল্পীদের।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ৭ সেপ্টেম্বর:- দ্বারকেশ্বর নদীর পাড়ে সারি সারি কাশফুল ফুটেছে। বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো আসছে। কিন্তু হুগলি জেলার আরামবাগের রামপাড়ায় বিষাদের সুর। ঠাকুর গড়ার বরাত এখনো সেই ভাবে না আশায় হতাশায় মৃৎশিল্পীরা। দ্বারকেশ্বর নদীর পাড়ে অবস্থিত রামপাড়ায় কয়েশো মৃৎশিল্পী পরিবারের বাস।করোনা পরিস্থিতিতে পুজোর ঠাকুর গড়ার কাজ অনেকটাই ধীর গতিতে চলছে। দুই একটা যা বরাত আসছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাদের। তবে সামনেই বিশ্বকর্মা পুজো বলে মৃৎশিল্পীদের বিশ্বকর্মা থেকে দুর্গা ও আগে থেকে বেশ কয়েকটি কালি ঠাকুর গড়তে দেখা যায়। কথায় কথায় ফুটে ওঠে করোনা পরিস্থিতিতে মৃৎশিল্পীদের করুন কাহিনি। প্রায় দুই বছর কাজ হারা তারা। দুটো একটা ঠাকুর তৈরি হলেও অর্থ সেই ভাবে না পাওয়া যাওয়া সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে বলে জানান তারা।

আরামবাগের প্রত্যন্ত এই জনপদের মৃৎশিল্পীদের একটাই দাবী সরকার যদি তাদের শিল্পী ভাতা ও সরকারি লোনের ব্যবস্থা করে তাহলে করোনা পরিস্থিতিতে কয়েকশো পরিবার বেঁচে যাবে। এই বিষয়ে নবদ্বীপ রাম জানান, বন্যা ও করোনা পরিস্থিতিতে মৃৎশিল্পীদের আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটছে। বারো হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পযন্ত ঠাকুরের বরাত পাওয়া যেত কিন্তু দুই বছর সেই বরাত এখনও আসেনি।সরকার যদি লোনের ব্যবস্থা করে তাহলে ভালো হয়। অপরদিকে আরামবাগের সালেপুর দুই নম্বর অঞ্চলের প্রধান সঞ্জীব অধিকারী জানান,এটা বাস্তব, করোনা পরিস্থিতিতে মৃৎশিল্পীদের অবস্থা খারাপ হয়েছিল। তবে খাদ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা ওদের পাশি দাঁড়িয়ে ছিলাম। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। সবমিলিয়ে আর্থিক অনটনের মধ্যে দিন কাটছে আরামবাগের মৃৎশিল্পীদের।