সুদীপ দাস, ২৪ আগস্ট:- অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠলো এক ব্যাক্তিকে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হলেন মা এবং কাকিমা। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়া থানার পুরাতন কাপাসডাঙ্গা এলাকায়। আক্রান্ত ব্যাক্তির নাম পার্থসারথি সেন (৪২)। ঘটনায় পার্থসারথির মা জ্যোৎস্না সেন এবং কাকিমা রত্না সেনও দুষ্কৃতিদের হাতে প্রহৃত হন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্যান্ডেল-নৈহাটি লাইনের হুগলী ঘাট স্টেশনের কাছে পুরাতন কাপাসডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী পার্থসারথি সেন। তাঁর বাড়ির অদূরেই তৈরী হচ্ছে একটি নতুন বাড়ি। অভিযোগ নির্মীয়মান সেই বাড়িই বিগত বেশ কিছুদিন ধরে সমাজ বিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠেছে। বিষয়টি জানতে পেরে বাড়িতে ঢোকার মূল গেটে মালিক তালা ঝোলালেও সেই তালা দুষ্কৃতিরা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি শুধু মদ্যপান নয়, ওই বাড়িতে রিতিমত মধুচক্র শুরু হয় বলে স্থানীয়দের মত। তবে ভয়ে সেভাবে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। সোমবার রাতে পার্থসারথি কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন বাড়ির গেটে অচেনা সাইকেল রাখা রয়েছে। ওই সাইকেল কাদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি তাঁর। এরপর পার্থ পাশে থাকা ওই নির্মিয়মান বাড়িতে গিয়ে সেসময় উপস্থিত ব্যাক্তিদের সেখানে মদ্যপান ও গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় তাঁকে বেধরক মা্রধর শুরু করে বলে অভিযোগ। পার্থকে রিতিমত নির্মিয়মান বাড়িতে রাখা ইট দিয়ে মারা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন মা জ্যোৎস্নাদেবী ও কাকিমা রত্নাদেবী। খবর পেয়ে ছুটে আসেন পাড়া প্রতিবেশীরা। এরপরই চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। অভিযোগ তৃণমূলের দখলে থাকা ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা এলেও তিনি সেভাবে ঘটনার প্রতিবাদ করেন নি। এদিন রাতেই এবিষয়ে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পার্থসারথিবাবু।
