এই মুহূর্তে জেলা

আরামবাগে বন্যার জল কমলেও চারিদিকে শুধুই ধ্বংসলীলা , একমুঠো অন্নের জন্য শুধুই হাহাকার।

মহেশ্বর চক্রবর্তী, ২৪ আগস্ট:- ভয়াবহ বন্যার জল কমে গেছে। কিন্তু রেখে গেছে চারিদিকে ধ্বংসলীলা। যে দিকে চোখ যাবে সে দিকেই দেখা যাবে বন্যার জলের তান্ডব নৃত্য। শুধু ধ্বংস আর ধ্বংস। এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে হুগলির আরামবাগ মহকুমার প্লাবিত এলাকাগুলিতে। বিশেষ করে খানাকুলের ঠাকুরানী চক, কিশোরপুর এক ও দুই, ধান্যনগরী, কাগনান, রাজহাটির কিছু অংশ, শাবলসিংহপুর, বন্দর, জগৎপুর, নতিবপুর, চিংড়িসহ বিস্তৃর্ন প্লাবিত এলাকা। বর্ষার মরসুমে অতিরিক্ত জল ও বিভিন্ন জলাধার থেকে ছাড়া জলে এই এলাকায় বন্যা হয়। কয়েক হাজার মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে চারিদিকে ভয়ংকর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। জল কমলেও তারা এখন ত্রান শিবির থেকে বাড়ি ফিরতে পারছে না।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে বন্যা দুর্গত মানুষেরা এক মুঠো অন্নের জন্য তারা হাহাকার করছে। জমি জায়গা ও বাড়ি হারিয়ে তারা নিঃস্ব হয়ে গেছে। কাজ হারিয়ে তারা ছেলে মেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বন্যার জেড়ে খানাকুলে কি করুন অবস্থা তা চোখ না দেখলে উপলব্ধি করা যাবে না। যারা নদীবাঁধ থেকে বহু দুরে বাস করছেন তারা সেই ধ্বংসলীলা উপলব্ধি করতে পারবেন না। এমনটাই জানান খানাকুলের ধান্যনগরী এলাকার এক বাসিন্দা। অন্যদিকে কাগনান এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বন্যার সময় তো স্কুল বাড়িতে ছিলাম প্রশাসনের তরফ থেকে শুকনো খাবার আসতো। তা খেয়ে ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বেঁচে ছিলাম। জল কমতেই আমরা বন্যার জলে ভাঙা বাড়িতে চলে এসেছি। কিন্তু এক মুটো অন্নের জন্য হা হাকার চলছে। একদিকে সাহায্য কম আসছে আর অন্যদিকে বন্যায় সব হারিয়ে সর্বশান্ত। কাজ নেই। কি করে সংসার চালাবো। লোকের কাছ থেকে ধার করে আর কতদিন চলবে। কান্নাভেজা চোখে এই কথাগুলো বলছিলেন কাগনানের ওই বাসিন্দা।