কলকাতা, ১৮ আগস্ট:- রাজ্যের উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, তরাই এলাকার দু’শোর বেশি মানুষ আফগানিস্তানে আটকে রয়েছেন বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ নবান্নে সাংবাদিকদের বলেন প্রত্যেকেরই সেখানে ভাল রয়েছেন। তাদের নিরাপদে রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও মুখ্যমন্ত্রী এই দিন জানান। তালিবানরা ক্ষমতা দখল করার পর যেসব আফগান নাগরিক প্রাণ ভয়ে মরিয়া হয়ে দেশ ছাড়তে চাইছেন, শরণার্থী হিসেবে তাদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।
গত রবিবার কাবুলের ‘পতনের’ পর থেকে আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালিবানের হাতে চলে গিয়েছে। তারপর থেকেই আফগানিস্তান ছাড়তে মরিয়া উঠেছেন সেই দেশের নাগরিকরা। বিদেশিরাও আফগানিস্তান ছাড়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই আফগানিস্তানে আটকে পড়েছেন বলে খবর মিলেছে। নাগেরবাজারের এক মোটিভেশনাল স্পিকারের স্ত্রী কাবুলে আটকে আছেন। কার্শিয়াং, জলপাইগুড়ি, উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক বাসিন্দা বিভিন্ন কারণে আফগানিস্তানে যান। সেখানেই এখন আটকে পড়েছেন। অরাজকতার পরিবেশে অধিকাংশ পরিবারই আটকে থাকা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।সবথেকে বেশি সমস্যা তৈরি হয়েছে বাণিজ্যিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়।
তারই মধ্যে অবশ্য কয়েকজন ভারতীয়কে ফিরিয়ে এনেছে নয়াদিল্লি। রীতিমতো রোমহর্ষক কায়দায় ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে তাঁদের দেশে ফেরানো আনা হয়েছে। তারপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। আগামিদিনে আফগানিস্তান থেকে ভারতীয় নাগরিকদের সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন মোদী