এই মুহূর্তে কলকাতা

আগামীকাল অনাড়বম্বর ভাবে পালিত হবে কন্যাশ্রী দিবস।

কলকাতা, ১৩ আগস্ট:- এবছরও কোভিডের ছায়া কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে। শনিবার রবীন্দ্র সদনে সীমিত সংক্ষক অতিথিদের উপস্থিতিতে দিনটি পালন করার আয়োজন করছে রাজ্য সরকার। যেখানে প্রকল্প রূপায়নে সেরা জেলাগুলিকে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি সেরা ছাত্রীদের পুরস্কার এবং সম্বর্ধনাও দেওয়ার কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সেরা জনমুখী প্রকল্পগুলির অন্যতম কন্যাশ্রী। প্রতিবছর ১৪ই আগস্ট দিনটি কন্যাশ্রী দিবস হিসাবে পালন করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর কন্যাশ্রী দিবস পালন করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু গত বছর কোভিডের কারণে কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে কাটছাঁট করতে হয়। আশা ছিল এবছর কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগের মতো জাঁকজমকের সঙ্গে অনুষ্ঠান করা হয়নি। কিন্তু এবছরেও অতিমারীর কালো ছায়া সরেনি। বরং চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। তাই এবারও অনাড়বম্বর ভাবে পালিত হবে কন্যাশ্রী দিবস।

রাজ্যের মহিলা, শিশু ও সমাজ কল্যান দপ্তর। এবছর কন্যাশ্রী প্রকল্পে ভালো কাজের নিরিখে সেরার সেরা জেলা হিসাবে উঠে এসেছে আলিপুরদুয়ার। কাজের ভিত্তিতে পয়েন্টের হিসাবে রাজ্যের চার জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ওই চার জেলা হল আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দার্জিলিং ও কোচবিহার। তালিকায় রয়েছে একটি মহকুমা পরিষদের নামও রয়েছে পুরস্কার প্রাপকের তালিকায়। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদকে এবার কন্য়াশ্রী রূপায়নে সেরার পুরস্কার দেওয়া হবে। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, কন্যাশ্রীতে ভালো কাজের বিচারে আলিপুরদুয়ার জেলার পয়েন্ট ৯৯.৮২। তারপরই রয়েছে কালিম্পং জেলা। ওই জেলার পয়েন্ট ৯৯.৮১। তারপর দার্জিলিংয়ের পয়েন্ট ৯৯.৬৬, কোচবিহারের পয়েন্ট ৯৯.৩৬। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের পয়েন্ট ৯৯.১৯। আবেদনকারীদের অভিযোগ কত দ্রততার সঙ্গে খতিয়ে দেখে তা মেটানো হয়েছে,

কন্যাশ্রীর কাজ কত দ্রুত করা হয়েছে, কত তাড়াতাড়ি কন্যাশ্রী রিনিউ করা হচ্ছে, এইসব কাজের নিরিখে উত্তরবঙ্গের চারটি জেলা ও একটি মহকুমা পরিষদকে এই পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্য়ের নারী শিশু ও সমাজ কল্যান মন্ত্রী শশী পাঁজা বিজয়ী জেলা গুলিকে পুরস্কৃত করবেন। কন্যাশ্রী রাজ্য সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য জনমুখী প্রকল্প। গোটা বিশ্বে এই প্রকল্প শিক্ষানুরাগী মানুষের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে। রাজ্য সরকারের এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের দু’টি পর্যায় আছে। প্রথমটি কে-১ এবং দ্বিতীয়টি কে-২। অষ্টম শ্রেণি থেকে ছাত্রীরা কন্যাশ্রী-১ প্রকল্পে বছরে ১০০০ টাকা করে পায়। ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর তাঁরা কন্যাশ্রী-২ প্রকল্পে চলে যান। সেখানে তাঁরা ২৫ হাজার টাকা পান।