আরামবাগ, ১ আগস্ট:- জলাধারগুলি থেকে লাগাতার জল ছাড়ার ফলে আরামবাগ মহকুমাবাসীর আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট ও পুড়শুড়ার বন্যা দুর্গত মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাছে। একদিকে রূপনারায়নের জল আর অন্যদিকে দ্বারকেশ্বর নদীর জল বাড়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ। পাশাপাশি দামোদর ও মুন্ডেশ্বরি নদীর জলে বহু চাষের জমি জলের তলায়। কয়েক হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিন সকাল থেকেই জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ায় খানাকুলের পুর্ব ঠাকুরানিচকে দ্বারকেশ্বরের বাঁধ ভাঙে। প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৮.৩০ মিনিট নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। এলাকার মানুষকে স্কুল বাড়িগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শীতল মন্ডলে উদ্যোগে বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিন সকলে দ্বারকেশ্ব নদীতে ৮৫৪০ কিউসেক এবং গন্ধেশ্বরীতে ২২২০ কিসেক জল ছাড়া হয়। ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে কিশোরপুর এক ও দুই নম্বর অঞ্চল, ঠাকুরানিচক, জগৎপুর, মাড়োখানা, চিংড়া ও নতিবপুর। পাশাপাশি গোঘাট ও আরামবাগেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ইতিমধ্যেই বৃষ্টির জল ও দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ উপচে জল আরামবাগ শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত করে। প্লাবিত এলাকাগুলিতে সিভিল ডিফেন্স ও এনডিআরএফের দল কাজ করছে। পাশাপাশি প্লাবিত এলাকায় পানীয় জলের সংকট দেখা দেওয়া আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন পানীয় জলের পাউচ তৈরি করে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। যত দ্রুত সম্ভব ওই সমস্ত এলাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সবমিলিয়ে আরামবাগের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে বলে জানা গেছে।