সুদীপ দাস, ২২ জুলাই:- মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পর আবারও স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড না নেওয়ার অভিযোগ নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে। আকাশছোঁয়া বিল মেটাতে না পারায় রুগীর মৃতদেহ আটকে রাখার অভিযোগ সেই না্র্সিং হোমের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালের। মৃত রুগীর নাম কালিদাসী দাস(৬২)। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর চলতি মাসের ৯তারিখ মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালের আউটডোরে দেখানোর পর হাসপাতালের পরামর্শ মত কালিদাসী দাসকে সেখানে ভর্তি করানো হয়। রুগীনির লিভারে জল জমার সমস্যা ছিলো। আত্মীয়দের দাবী হাসপাতাল ওই রোগের জন্য মোট ২লক্ষ ২০হাজার টাকার প্যাকেজ দেয়। আমরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলো ৫দিনের ওই প্যাকেজেই রুগীর অস্ত্রপচার করে জল বের করে দিয়ে ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ৫দিন পরও রুগী সুস্থও হয়নি আর ছুটিও দেওয়া হয়নি। রুগীর পরিবার ইতিমধ্যে ২লক্ষ টাকা মিটিয়েও দিয়েছে। গতকাল ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ আমরি হাসপাতালেই রুগী মারা যায়।
কিন্তু অভিযোগ এরপর মোট ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৯৭৮ টাকা ৫০ পয়সার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয় রুগীর পরিবারকে। বাজ ভেঙে পরে রুগীর পরিবারের মাথায়। অভিযোগ স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেওয়া হলে তা ছুঁড়ে ফেলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি টাকা না দিলে মৃতদেহ ছাড়া হবে না জানায় কর্তৃপক্ষ। গতকাল রামপুরহাটের ওই পরিবার চারিদিকে হন্যে হয়ে ঘুরে বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া আদালতের কাছে পরিচিত এক জনের কাছে এসে বিষয়টি খুলে বলেন। তাঁদের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রী বারংবার বলার পরও স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নিতে কি করে অস্বীকার করে বেসরকারি হাসপালগুলি? তাঁদের এখন একটাই চাহিদা যদি কোনভাবে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি জানতে পারে তাহলে হয়তো কালিদাসীর মৃতদেহটি রামপুরহাটের গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে!