আরামবাগ, ২২ জুলাই:- প্রকাশ্যে দিবালোকে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো আরামবাগ জুড়ে। এই রখম ঘটনা বিগত কয়েক বছরেও ঘটেনি বলে দাবী স্থানীয় মানুষের। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ থানার অন্তরগত মায়াপুর হাটে। অভিযোগ মায়াপুর হাটে সবজি বাজার করার সময় প্রকাশ্যে দিবালোকে দামী মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এরপর মোবাইল ফিরে পাওয়ার জন্য আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গৌরহাটি এক নম্বর অঞ্চলের বাসিন্দা চিন্ময় চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সবজি ফসলের হাট বসে মায়াপুরে। এদিন তিনি সকালে মায়াপুরে হাট করতেন আসেন। হাটের মধ্যে এদিন প্রচন্ড লোক সমাগম হওয়ায় ভিড় ছিলো বেশি। চিন্ময়বাবু ওই হাটের মধ্যে এক জায়গায় সবজি বিক্রেতারা কাছে সবজি কিন ছিলেন। বুক পকেটের মধ্যে ভিভো কোম্পানির দামি মোবাইলটা ছিলো।
সবজি কেনার সময় অন্যমনস্ক হতেই পকেট থেকে মোবাইল ফোনাটা নিয়ে পালাতে থাকে দুষ্কৃতি। সবজি বিক্রেতা তা দেখে বলার সঙ্গে সঙ্গে তার পিছনে ধাওয়া করে তাকে পাওয়া যায়নি। দুষ্কৃতির বিরুদ্ধে আরামবাগ থানায় মোবাইল ছিনতাইয়ের জন্য একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে প্রকাশ্য দিবালোকে কিভাবে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলো। উল্লেখ্য আরামবাগ মহকুমা তথা হুগলি জেলার মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্যপুর্ন হাট হলো মায়াপুর হাট। কিন্তু এই ভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলে মানুষ কিভাবে যাবে জিনিস পত্র কিনতে। আরামবাগ ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে বহু মানুষ এই হাটে আসেন। তাই অবিলম্বে এই হাটে নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবী তুলছে স্থানীয় মানুষ।
চুরি ও ছিনতাই বন্ধ করার জন্য হাটের দিনগুলিতে পুলিশি নজর দারি ও হাট মালিকের নিজস্ব লোক মোতায়ন করে নজরদারি চালানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। এই বিষয়ে মায়াপুর হাটের ম্যানেজার সেখ আব্দুল আলি জানান সিসি টিভি বাড়ানো হবে এবং নজরদারি আরও চালানো হবে। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে চিন্ময় চক্রবর্তী জানান, সবজি কেনার সময় আমার মোবাইলটি ছিনতাই হয়। দুষ্কৃতিটির পিছনে ধাওয়া করে তাকে ধরতে পারিনি। পড়ে গিয়ে আমার হাঁটুর কাছে প্যান্ট ছিঁড়ে যায়। কিন্তু মোবাইলটি উদ্ধার হয়নি। মোবাইলটি থেকে যাতে বেআইনি কাজ করতে না পারে সেই জন্য আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করলাম। গরীব মানুষ ইনস্টলমেন্টে মোবাইল ফোনটা কিনে ছিলাম সেটাও ছিনতাই হয়ে গেলো।তবে পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে।