এই মুহূর্তে জেলা

কলেজে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে হাওড়া গার্লস কলেজে বিক্ষোভ ছাত্রীদের।


হাওড়া, ১৬ জুলাই:- অস্বাভাবিক হারে কলেজে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে হাওড়ার বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রীরা। কোভিড আবহের মধ্যেই ফি বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই একতরফাভাবে এই ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছাত্রীদের। কলেজের মেন গেটের সামনে শুক্রবার দুপুরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান ছাত্রীরা। যতক্ষণ না কলেজের অধ্যক্ষ এনিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন ততক্ষণ আন্দোলন চালানো হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভরত ছাত্রীরা। অভিযোগ, অস্বাভাবিক হারে ফি বৃদ্ধি ও পরীক্ষা দেওয়ার পরেও নম্বর ইউনিভার্সিটিতে পাঠানো হয়নি। এই রকমের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের দাবীতে এদিন হাওড়ার মহাত্মা গান্ধী রোডের বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে ছাত্রীদের বিক্ষোভ হয়। ছাত্রীদের দাবী তাদেরকে একটি ফি স্ট্রাকচার ভর্তির সময়ে দেখানো হলেও তার থেকে বেশি ফি চাইছে কলেজ।

এছাড়াও পরীক্ষা দিলেও তাদের নম্বর ইউনিভার্সিটিতে পাঠানো হয়নি। ফলে তাদের অসম্পূর্ণ রেজাল্ট পাঠিয়েছে ইউনিভার্সিটি। তারা কলেজের প্রিন্সিপাল, বা বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে, তাদেরকে আগামী মঙ্গলবার আসার জন্যে জানানো হয়। বর্তমান মহামারী পরিস্থিতিতে যখন যানবাহন খুবই কম চলছে, সেই পরিস্থিতিতে কিভাবে বারেবারে দূরদূরান্ত থেকে কলেজে আসা সম্ভব সেই প্রশ্নই তুলেছেন ছাত্রীরা। কলেজ ছাত্রী রুপালি দাস জানান, ডিসেম্বর মাসে রেজাল্ট বেরিয়েছে। সেখানে নট ফাউন্ড দেখানো ছিল। আবার আগের সপ্তাহে রেজাল্ট বেরিয়েছে। কিন্তু হাওড়া গার্লস কলেজ রেজাল্ট দিচ্ছে না। দিলেও তা নট ফাউন্ড দেখাচ্ছে। এইচডি বলছে কলেজের দোষ। কলেজ বলছে এইচডির দোষ। কিন্তু ভুক্তভোগী হচ্ছেন ছাত্রীরা। তাঁর অভিযোগ, শিক্ষাজীবন থেকে একটা বছর কেটে নেওয়া হচ্ছে।

কি করে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবেন ছাত্রীরা। ছাত্রীর দাবি অবিলম্বে এক সপ্তাহের মধ্যে রেজাল্ট চাই। কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনওরকম সহযোগিতা করেনি সেই কারণে ছাত্রীদের এই বিক্ষোভ।কলেজ ছাত্রী শোভনা বারুই জানান, ভর্তির সময় যা হিসেব দিয়েছিল তাতে ফি লাগছিল ৮ হাজার ২০০ টাকা। পরে আবার ফি স্ট্রাকচার দেখানো হয়েছিল সেখানে বলা হচ্ছিল ১২ হাজার টাকা দিতে হবে। পরে ছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তা কমে ৮ হাজার ২০০ টাকা করা হয়। এবার আবার তা বাড়িয়ে বলা হয়েছে ১০ হাজার টাকা ফি করা হয়েছে। বর্তমানে এই অতিমারি পরিস্থিতিতে এত ফি দেবার সামর্থ্য অনেকেরই নেই। এখন যেখানে আড়াই মাস থেকে ৪ মাসের মতো ক্লাস হচ্ছে। সেখানে টাকা নেওয়া হচ্ছে ছয় মাসের। লাইব্রেরী থেকে কোনওরকম সুযোগসুবিধা পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও লাইব্রেরী ফি নেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য কলেজের ফি অনেক কম। বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে। যদিও এদিন ছাত্রীদের বিক্ষোভ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও বক্তব্য জানা যায়নি।