এই মুহূর্তে জেলা

ব্রীজ সংস্কারের প্রয়োজন থাকলেও অধরাই সেই কাজ , ক্ষোভে ফুটছে আরামবাগের মানুষ।

আরামবাগ, ৩ জুলাই:- প্রায় দেড় বছর আগে পাকার ব্রীজের পিলার বসে গিয়ে ব্রীজ থেকে ভেঙে বসে যায়।ব্রীজ ভেঙে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়।জরুরি ভিত্তিতে ব্রীজ সংস্কারে প্রয়োজন থাকলেও দেড় বছর কেটে গেলেও এখনও অধরা সংস্কারের কাজ। তাই ক্ষোভে ফুটছে হুগলি জেলার আরামবাগের কালিদোনার ভুতবাজার এলাকায় মানুষ। আসলে বাঁকুড়ার জল ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার মতো ব্রীজ ভেঙে পরার আতঙ্কে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। পাকার ব্রীজের পাঁচটি পিলারের মধ্যে একদিকের দুটি পিলার ভেঙে বসে যাওয়া আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয়দের। প্রায় দেড় বছর পাড় হয়ে গেলেও সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভে ফুটছে এলাকার মানুষ। তাদের দাবী এই গ্রামীন এলাকার ব্রীজ বলে সংস্কার করার কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। প্রশাসনিক উদাসীনতায় যদি বর্ষার সময় বড়ো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তার দায়িত্ব কে নেবে। জানা গেছে এদিন সকালে হঠাৎ করে আরামবাগের মুন্ডেশ্বরি নদীর শাখা কানানদীর ওপড় নির্মিত ব্রীজটির পিলারগুলি ভাঙতে শুরু করে।এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

এরপর এলাকার মানুষ ব্রীজের ওপর মানুষ চলাচল বন্ধের জন্য কাগজের বোর্ড লাগায় এবং স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেয়।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রায় কুড়ি বছর আগে এই ভুতবাজার এলাকার পাকার ব্রীজটি বাম আমলে তৈরি হয়। বেহাল হয়ে পড়ায় প্রশাসন প্রায় ৩৪৯৬০৮ টাকা মেরামতের জন্য বরাদ্দ করে এবং ২০১৮ সালে কাজ শুরু হয়।কিন্তু সংস্কারের দুই বছরের মাথায় কিভাবে ব্রীজটির পিলার গুলি ভেঙে পড়লো। তাহলে কি কোনও দুর্নীতি হয়েছে। উঠছে প্রশ্ন। গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় মানুষ। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ যা টাকা বরাদ্দ হয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ হয়নি। এই জন্য ব্রীজটি ভেঙে গেছে। অবিলম্বে এই ব্রীজকে নতুন করে তৈরি করা দরকার। না হলে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। অপরদিকে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির পুর্তকর্মাধক্ষ্য জগন্নাথ দাস বলেন ব্রীজটি সংস্কার করা প্রয়োজন। করোনা পরিস্থিতি ও ভোটের জন্য সংস্কার করা যায়নি।

বর্ষার পর আশা করি সংস্কার করা হবে। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ মাস্টার প্লানের কাজ করা সময় মাটি ধসে গিয়ে ব্রীজটির পিলারগুলি বসে যায়। তবে আরামবাগ মহকুমা পুর্ত দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, মাস্টার প্লানে মাটি কাটার জন্য ব্রীজটির পিলার ভাঙেনি। পরিকাঠামোগত দুর্বলতার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। পিলার থেকে পাঁচ ফুট ছেড়ে মাটি কাটা হয়েছে। অন্যদিকে আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি নাকি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে প্রায় দেড় বছর কেটে গেলেও এখনও কেন ব্রীজের কাজ হলো না। উঠছে প্রশ্ন। সবমিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষের স্বার্থে তৈরি এই ব্রীজ কবে সংস্কার হয় সেই দিকেই তাকিয়ে এলাকার মানুষ।