এই মুহূর্তে জেলা

প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্নহত্যা এক স্কুল পড়ুয়ার আরামবাগে।

আরামবাগ, ২৮ জুন:- আবারও অনলাইন গ্রেমে প্রেম। আর প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্নহত্যা এক স্কুল পড়ুয়ার। ঘটনায় চাঞ্চল্য হুগলির আরামবাগের গৌরহাটি দুই নম্বর অঞ্চলের বেহালাবাজার এলাকায়। মৃত স্কুল পড়ুয়ার নাম নয়ন বারুই (১৭)। সে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বাবার নাম অনিত বারুই। আত্নহত্যা করার আগে ছাত্রটি সুইসাইড নোট রেখে যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রটি বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ গেম খেলছিলো। সেই অনলাইন গেমে অপরিচিত একজন মেয়ের সাথে তার খেলা চলে। আর এই অনলাইন গেমের মাধ্যমেই নাকি তার চেয়ে বয়েসে অনেক বড়ো একটি মেয়ের প্রেম হয়। তবে সেই প্রেমে মেয়েটি সারা দিয়েছিলো কিনা জানা যায়নি। স্থানীয় মানুষের দাবী স্কুল পড়ুয়া ছাত্রটির একতরফা প্রেম হতে পারে। কারন তাকে এলাকার কোনও মানুষ দেখেনি। কেবলমাত্র অনলাইন গেমেই তাদের পরিচয়। তাই এলাকার মানুষ ও পুলিশের প্রাথমিক ধারণা মানুষিক অবসাদ থেকে আত্নহত্যা করেছে ছাত্রটি। পরিবার সুত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া করে শুতে যায় নয়ন। তারপর পরিবারের সকল সদস্যও শুয়ে পড়ে। ভোরবেলা বাড়ির লোকজন জন দেখে পাখায় গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করে।

এই বিষয়ে মৃত ছাত্রের সম্পর্কে দাদু বলেন, বাড়ির কারুর সঙ্গে ঝগড়া হয়নি। বন্ধুদের কাছে জানা যায় অনলাইনে একটি মেয়ের সাথে নাকি কথা কাটাকাটি হয়। তারপর মানুসিক অবসাদ থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে। উল্লেখ্য বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের দাবী, লকডাউনে অনলাইন গ্রেমে যুবকেরা আসক্ত হয়ে পড়ছে। এক একটি অনলাইন গ্রেমে নাকি ১০০ থেকে ৫০ জন সদস্য থাকতে পারে।তার মধ্যে গ্রুপ করে কখনও চারজন আবার দুই জন মিলেও খেলা যায়। এই গ্রেমে বর্তমানে যুবতি মেয়েরাও যুক্ত হয়ে পড়ছে। এরফল স্বরুপ অজানা হয়েও প্রেমে জড়িয়ে পড়ছে ছেলে মেয়েরা। ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলে অনলাইন গ্রেমে সময় কাটাছে তারা এবং মানসিক অবসাদে ভুগছে। সমাজের বাস্তব পরিস্থিতি থেকে দুরে সরে গিয়ে সুইসাইড করছে তারা।এমনটাই অভিমত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। গৌরহাটি এক দুই নম্বর অঞ্চলে ছাত্রের মৃত্যুকে এর বড়ো প্রমান বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। তাদের দাবী ছাত্র ছাত্রীদের অনলাইন গেম থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে অবিভাবকদের দায়িত্ব নিতে হবে। সবমিলিয়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আবারও অনলাইন গ্রেমের অপকারিতা প্রকাশ্যে আসায় চিন্তাগ্রস্ত এলাকার মানুষ ও ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকেরা।