আরামবাগ, ২০ জুন:- হুগলির আরামবাগ মহকুমার পুড়শুড়া বিধানসভার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ। এদিন তিনিপুড়শুড়ার দাসপাড়া, মাছের বাজার, শ্রীরামপুরের তারিখানা এলাকার বানভাসি মানুষজনের সহায়তায় জন্য পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।উল্লেখ্য টানা চার দিন অতিবর্ষনের ফলে পুড়শুড়ার বেশ কয়েকটি জায়গায় জল জমে যায়।প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, পুড়শুড়ার ওপর দিয়ে প্রভাবিত দামোদর, মুন্ডেশ্বরি নদীর ওপর দিয়ে জল প্রভাবিত হলেও নদীর বাঁধ ভাঙ্গেনি।তবে নদীর বাঁধ টপকে ও অতিবর্ষনের ফলে জল জমে প্লাবিত হয় এলাকা।সমস্যায় পড়ে বহু মানুষ। এদিন তাই পুড়শুড়া বিধান সভার বিধায়ক দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এলাকা পরিদর্শন করেন এবং প্রশাসনের সাথে কথা বলে তাদের সহয়তা দেবার ব্যবস্থা করেন বল জানা গেছে। এই বিষয়ে পুড়শুড়া বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, দামোদর নদীর জল উপচে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ১৮০ টি মতো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নদীর পাঁড়ে বসবাস করছেন। তাদের জন্য ত্রিপল ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সমস্ত দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।পুড়শুড়ার মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টিকে জিতিয়েছে।তাই পুড়শুড়া বাসীর কাছে বিধায়ক হিসাব আমি দায়বদ্ধ তাদের উন্নয়নের জন্য। পাঁচ বছর আমি পুড়শুড়ার বিধায়ক হিসাবে উন্নয়নের কাজ করবো। বিগত বাম জমানো এবং দশ বছর তৃনমুল ক্ষমতায় থেকেও কাজ কি করেছে তা এলাকার মানুষ দেখেছে। আমি দুই মাস বিধায়ক হয়েছি। পুড়শুড়ার মানুষের পাশে আছি এবং আগামী দিনেও থাকবো। এদিন বিমানবাবু সকাল থেকেই পুড়শুড়ার প্লাবিত এলাকা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দুর্গত মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেন এবং খাদ্যের ব্যবস্থা করেন। সবমিলিয়ে এদিন বন্যা দুর্গত মানুষেরা বিধায়ককে কাছে পেয়ে অনেকটা সন্তোষ প্রকাশ করেন। এলাকার মানুষের দাবী বিগত দিনের প্রাক্তন তৃনমুল বিধায়ককে পাঁচ বছর দেখতে পাওয়া যায়নি। মাঝে মাঝে এলাকায় দেখা দিয়েই পালিয়ে যেতো। কিন্তু বর্তমান বিধায়ক বিমান ঘোষ ভোটের ফলাফল ঘোষনার পর থেকেই এলাকার মানুষের পাশে আছেন।