এই মুহূর্তে কলকাতা

করোনার সংক্রমণ কমলেও কোনো ঢিলেমি দেওয়া যাবে না, রাজ্যগুলিকে সাফ জানালো কেন্দ্র।

কলকাতা, ১৯ জুন:- দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও সতর্কতায় কোন ঢিলেমি না দিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য গুলিকে আবেদন জানিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধে ছাড় দেওয়া হলেও নমুনা পরীক্ষা, করোনা আক্রান্তের চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসা এবং টিকাকরণে গাফিলতি করা যাবে না বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা জানিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিবদের উদ্দ্যেশ্যে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, সংক্রমনের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে বহু রাজ্যেই করোনা বিধিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সরেজমিনে কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তবেই যেন এধরণের ছাড় দিতে হবে। ছাড় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি ক্ষেত্রে করোনাবিধি মানা হচ্ছে কিনা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব সেদিকেও নজর দিতে বলেছেন। অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধে ছাড় দেওয়া হলেও নমুনা পরীক্ষা, করোনা আক্রান্তের চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসা এবং টিকাকরণে গাফিলতি করা যাবে না। মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব মানা সহ যাবতীয় কোভিড বিধিতে চিঠিতে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

কোনও ছোট অঞ্চল বা এলাকায় সংক্রমণ বাড়লে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী স্থানীয় কনটেইনমেন্ট জোন করা যাবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্যে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন, সংক্রমণ কমলেও নমুনা পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে কোনওরকম গাফিলতি করা যাবে। সংক্রমণের হার এবং সক্রিয় মামলার কেসের সংখ্যা বাড়ছে কিনা সেদিকেও নজর দিতে হবে। এদিকে, ৭৪ দিন পর ভারতে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা সর্বনিম্ন। তবে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে বাড়ল উদ্বেগ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমে নামল ৬০ হাজারের ঘরে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ৭৫৩। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৬০ হাজার ১৯।এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৩৯০ জন। একদিনে সুস্থতার সংখ্যা ৯৭ হাজার ৭৪৩।