হুগলি , ১৫ জুন:- এই নিয়ে পর পর দুইবার, এবাররেও ৬২৫ বছরের মাহেশের ঐতিহাসিক রথযাত্রা স্থগিত হয়ে গেলো। এবছর আগামী ১২ জুলাই রথযাত্রা হবে, পুরীতে ভক্ত ছাড়া রথযাত্রা হলেও মাহেশে কিন্তু ধুমধাম সহকারে রথযাত্রা হচ্ছে না। মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী জানান করোনা কালে যাতে বিপুল জনসংখ্যা না হয় তার কথা মাথায় রেখেই মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিল। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কেনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। রথের দিন মন্দির চত্ত্বরেই অস্থায়ী মাসির বাড়ি তৈরী করা হবে, জগন্নাথের প্রতিরুপে শিলাখন্ড যাবে মাসীর বাড়ি। এছাড়াও আগামী ২৪ তারিখে জগন্নাথের স্নানযাত্রা হবার কথা, কিন্তু এবারেও আর মন্দির সংলগ্ন স্নান পিঁড়ির মাঠে নয়, মন্দিরের ভেতরেই হবে স্নান যাত্রা।
১৩৬ বছর আগে সেই যুগের কুড়ি হাজার টাকা ব্যয় শ্যামবাজারের বসু পরিবার এর সদস্য হুগলির দেওয়ান কৃষ্ণ চন্দ্র বসু এই লোহার রথটি তৈরি করে দেয়। এই রথ ৫০ ফুট উঁচু। রয়েছে ১২টি লোহার চাকা, ২টি তামার ঘোড়া। ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম রথযাত্রা, জগন্নাথ সামনে যে মাঠ সেই মাঠে তেই প্রতি বছর বসে মেলা এ বছর সে মেলা বসবে না। এর আগে কাঠের রথ ছিল। বারবার ভেঙে যাওয়ার জন্যই এই লোহার রথ তৈরি হয়। ইতিহাস বলে সাধক ধ্রুবা নন্দ ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশে গঙ্গা থেকে ভেসে আসা নিম কাঠ দিয়েই এই জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা মূর্তি তৈরি করেন।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাধারানী উপন্যাসে এই মাহেশের রথের উল্লেখ আছে।