এই মুহূর্তে কলকাতা

জিএসটি পরিষদ বর্তমানে স্বৈরাচারী এবং সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতে চালিত সংস্থায় পরিণত হয়েছে – অমিত মিত্র।

কলকাতা, ১৪ জুন:- এক সময় সর্বসম্মতির ভিত্তিতে পরিচালিত জিএসটি পরিষদ বর্তমানে স্বৈরাচারী এবং সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতে চালিত সংস্থায় পরিণত হয়েছে। যেখানে বিরোধী মতামতকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র মন্তব্য করেছেন। নবান্নে আজ এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, আমলাতন্ত্রকে সমস্ত প্রধান কমিটির মাথায় বসিয়ে দেওয়ার ফলে পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে। এর ফলে জিএসটি পরিষদ তৈরির মূল ভাবনা ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আহত হচ্ছে বলে অর্থমন্ত্রী মন্তব্য করেন। জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ারও তিনি দাবি জানিয়েছেন। অমিত বাবু জানান, জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্য সরকারের কেন্দ্রের কাছে চার হাজার ন’শো এগারো কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

সমস্ত রাজ্যের এ বাবদ প্রাপ্য বকেয়া প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকা। তাঁর দাবি, সংখ্যাধিক্যের মতকে প্রাধ্যান্য দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বকেয়া অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজন হলে রাজ্যগুলোকে বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার দিকে ঠেনে না দিয়ে, কেন্দ্রকেই রিজার্ভ ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এই ক্ষতিপূরণ মেটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যদিকে, কোভিডের চিকিৎসা সরঞ্জাম এর ওপর জিএসটি প্রত্যাহার না করার জন্য অর্থমন্ত্রী আজ পুনরায় কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।তিনি বলেন,শেষ বৈঠকে প্রায় ৯-১০ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই অতিমারির সময় কোভিড চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের উপর কর তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। কিন্তু তাঁদের আর্জি শোনা হয়নি। অনেক অনুরোধ উপরোধ এর পর শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সের উপর থেকে কর ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে।