এই মুহূর্তে কলকাতা

ঠিকা টেন‍্যান্ট ও তাদের ভাড়াটিয়াদের বাড়ি তৈরির অনুমতির বিনিময়ে ১ টাকা সেলামি নেবে রাজ্য সরকার।

কলকাতা , ১১ জুন:- ঠিকা টেন্যান্ট ও তাঁদের ভাড়াটিয়াদের বাড়ি করার ৪টি আবেদন পত্র মঞ্জুর করলো রাজ্য মন্ত্রিসভা। সম্প্রতি ভূমি দপ্তরে রামদুলাল সরকার স্ট্রিট, চাউল পট্টি রোড, ওলাই চাঁদ রোড এবং সাত চাষী পাড়া এলাকা থেকে ৪ জন ঠিকা ‘‌প্রজা ঠিকা টেন্যান্সি অ্যাক্ট ২০১৯’‌ অনুযায়ি বাড়ি তৈরি করার অনুমতি চেয়ে আবেদন পত্র জমা দেয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রথম এই ধরনের আবেদন পত্র মঞ্জুর করা হলো। বাড়ি করতে অনুমতি দেওয়ার বিনিময়ে রাজ্য সরকার জমি বাবদ ১ টাকা সেলামি নেবে। এবং ভাড়া হিসেবে জমির বাজার দরের ওপর বছরে ৩ শতাংশ অর্থ ধার্য করা হবে। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, সাধারণত এই ধরনের বাড়ি দুই থেকে আড়ি কাঠা জমির ওপর হবে।

ভাড়া হিসেবে খুব সামান্য অর্থ তাঁদের বছরে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ঠিকা টেন্যান্টি অ্যাক্ট সংশোধন করে বলা হয়, সরকারি জমিতে বসবাসকারী ঠিকা প্রজাদের ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজ দেওয়া হবে। এর ফলে ঠিকা টেন্যান্টরা জমিক স্বত্তাধিকার পান। তাঁরা বাড়ি করার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের সুবিধা পান। আইন সংশোধনের সময় তৎকালীন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, বস্তির জমিতে প্রমোটিং করতে দেওয়া হবে না। এই আইন সংশোধন করে বস্তির মানুষ যাতে নিজেরাই নিজেদের উন্নয়ন করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হলো। পাশে থাকবে সরকার। সংশোধিত আইনের সুযোগ যাঁরা নিতে পারবেন তাঁদের আর ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতে হবে না। বাড়ির মালিকানা পেয়ে যাবেন। লিজ দেওয়ার স্বত্ত অনুযায়ী বাড়ি বা ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা যাবে, কিন্তু বিক্রি করা যাবে না। যে সমস্ত ঠিকা প্রজাদের অধীনে ভাড়াটিয়া থাকছেন তাঁদের উচ্ছেদ করা যাবে না। কলকাতায় এমন ৮০ হাজার ঠিকা টেন্যান্ট আছে।