হাওড়া, ৫ জুন:- “ড্রেন ও প্লাস্টিকের বিবাহ বিচ্ছেদ।” এই ক্যাচলাইনকে সামনে রেখে শনিবার ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের সকালে অভিনব কর্মসূচি নিয়েছিল হাওড়া পৌর নিগম। এই অভিনব ক্যাচলাইনের মাধ্যমে মেসেজ দেওয়া হয় প্লাস্টিক এবং নিকাশি নালা দুজনেই দুজনের শত্রু। তাই প্লাস্টিকের যত্রতত্র ব্যবহার যেন আর না করা হয়। এবার থেকে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে উদ্যোগী হল হাওড়া পুরসভা। শনিবার ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বার্তা তুলে ধরা হয়। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর বিষয়ে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সাধারণ মানুষের সচেতনতার উপর জোর দেন মন্ত্রী অরূপ রায়। অরূপ রায় বলেন, আমরা চাইছি একটা নির্দিষ্ট মাইক্রোনের প্লাস্টিক যাতে ব্যান করা যায়। এই নিয়ে আলোচনা হবে। তবে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। প্লাস্টিক যতটা কম ব্যবহার করা যায় তা দেখতে হবে। পাশাপাশি প্লাস্টিক যত্রতত্র ফেলা বন্ধ করতে হবে।
এটা সমস্ত মানুষের জন্য। মানুষ সচেতন না হলে সুস্থ থাকতে পারবেন না। হাওড়াকে জল জমা থেকে মুক্ত করতে গেলে প্লাস্টিক বর্জন করতেই হবে। প্লাস্টিক সহ প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন জিনিস যদি যত্রতত্র ফেলা বন্ধ না করা হয়, তাহলে পরবর্তীকালে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে না। মানুষকেই সচেতন হয়ে প্লাস্টিক বর্জন করতে হবে। মানুষ যাতে প্লাস্টিক বর্জন করে সেই ব্যাপারে নিয়ম লাগু করা হবে। যদি তা না মানা হয় তাহলে প্রথমে তাদের সচেতন করা হবে। পরে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মানুষের কাছে আমাদের আবেদন যত্রতত্র প্লাস্টিক, ময়লা যাতে না ফেলা হয়। নিকাশি নালা যেন পরিষ্কার রাখা হয়। নিকাশি নালাকে যেন ভ্যাট এর মতো ব্যবহার কেউ না করেন। পুর ইঞ্জিনিয়াররা তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে জানিয়েছেন, প্লাস্টিক বর্জন না করলে হাওড়াকে জলমগ্ন অবস্থা থেকে মুক্ত করা যাবে না।
সুতরাং জলমগ্ন অবস্থা থেকে হাওড়াকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে, জল জমা বন্ধ করতে, যত্রতত্র প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে, যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ফেলা বন্ধ করা জরুরি এটাই মানুষকে জানানো হচ্ছে। হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এবারের থিম ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন। বিশ্ব আজ চ্যালেঞ্জের মুখে। ড্রেন ও প্লাস্টিকের বিবাহ বিচ্ছেদ এই অভিনব ক্যাচলাইনের মাধ্যমে মেসেজ জানানো হয়েছে প্লাস্টিক এবং নিকাশি নালা দুজনেই দুজনের শত্রু। তাই প্লাস্টিক যেন যত্রতত্র ব্যবহার করা না নয়।