হুগলি , ৪ জুন:-বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর শুক্রবার সাংগঠনিক বৈঠকে চুঁচুড়ায় এসে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পরলেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন বিকেলে চুঁচুড়ায় হুগলি সাংগঠনিক জেলা অফিসে আসেন দিলীপ ঘোষ। যদিও আগেভাগেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের বিক্ষুদ্ধ কর্মীরা। দিলীপ ঘোষ অফিসে ঢুকে যখন বৈঠক করছেন তখন বাইরে বিক্ষোভ দেখানে শুরু করে দেয় বিজেপির বিক্ষুদ্ধ কর্মীরা। এদিনের বৈঠকে দিলীপ বাবু ছাড়াও সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী, রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ, বিজেপির হুগলী সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গৌতম চ্যাটার্জী সহ ভোটে পরাজিত বিজেপি প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজেপির বিক্ষুদ্ধ কর্মীরা রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ, জেলা সভাপতি গৌতম চ্যাটার্জী ও ধনিয়াখালির প্রার্থী তুষার মজুমদারের অপসারনের দাবী তোলেন। বৈঠক শেষে বাইরে থাকা বিক্ষুদ্ধ কর্মীদের ভিড়ের মধ্যে থেকে বেরনোর সময়ই দিলীপ বাবুর দিকে প্রশ্নবান ছুটে আসে। নতুন জেলা কমিটি গঠনের দাবীতে দিলীপবাবুকে ঘিরে ধরেই ক্ষোভ উগরে দেন কর্মীরা। এদিন কোনমতে নিজের গাড়িতে উঠে পার্টি অফিস ছাড়েন দিলীপবাবু। এবিষয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ কিছু না বললেও সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী বলেন কিছু কর্মীর ক্ষোভ থাকতেই পারে। তবে এদিনের বিক্ষোভে তৃণমূলই ইন্ধন জুগিয়েছে। যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে তাঁদের শোকজ করা হবে। অন্যদিকে এদিন বিক্ষোভে থাকা বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন হুগলী বিজেপিতে দালাল চক্রে ভরে গেছে। অবিলম্বে জেলা কমিটি ভাঙতে হবে। নাহলে বিজেপিকে বাঁচানো যাবে না। অন্যদিকে এদিনের বিক্ষোভে লকেট চ্যাটার্জীর তৃণমূলের ইন্ধন রয়েছে মন্তব্য প্রসঙ্গে দেবপ্রসাদ বলেন লকেট চ্যাটার্জীই বড় দালাল।