এই মুহূর্তে জেলা

টালির তরঙ্গে সুরের মুর্চ্ছনা , ঘরবন্দি দশায় সোমনাথের সৃষ্টকলা !

সুদীপ দাস , ৪ জুন:- পিয়ানোটা টুং-টাং বাজে টুং-টাং, হারমোনিয়াম কি বিরাট নাম! হুগলীর শ্রীরামপুরের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের সোমনাথ পেশায় বেসরকারী সংস্থার কর্মী হলেও তাঁর মনে কিন্তু সর্বদা টুং-টাং শব্দ! ভারতীয় বাদ্যযন্ত্রকে কত ভাবে যে রূপ দেওয়া যেযে পারে তা সোমনাথের বাড়িতে না এলে বোঝা যাবে না। জলতরঙ্গকে কখনও ফেলে দেওয়া কাঁচ, কখনও বা নারকোল মালাই আবার কখনও টালির বাঁধনে বেঁধে সৃষ্টি করছেন নতুন শব্দতরঙ্গ। আস্তাকুর থেকে কুড়িয়ে আনা বিভিন্ন ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে বাদ্যযন্ত্র তৈরী করে চলেছেন সোমনাথ ব্যানার্জী। এরমধ্যে কিছু যেমন ঘর সাজানোর “শো পিস”

রয়েছে আবার কিছু সত্যিকারের বাদ্যযন্ত্র। একটা সময়ে কাজের ফাঁকে রাত জেগে এইসমস্ত বাদ্যযন্ত্র সৃষ্টিশীলতার নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতেন সোমনাথবাবু। কিন্তু বর্তমান করোনা মহামারিতে অফিস বন্ধ। তাই হাতে এখন অঢেল সময়। সেই ফাঁকা সময়েই সোমনাথের হাতের ছোঁয়ায় বাড়ির চালে থাকা মাটির টালি দিয়ে টালিতরঙ্গ তৈরী করেছেন তিনি। নিজ হাতে সেই টালিতরঙ্গ থেকে কখনও প্রিয় গানের সুর আবার কখনও শিল্পীর নিজ সুরের মুর্চ্ছনা ভেসে উঠছে। সঙ্গে নতুন বাদ্যযন্ত্র সৃষ্টির ভাবনা তো রয়েইছে!