এই মুহূর্তে জেলা

স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০ তম জন্মদিন পালন রাধানগরে।


হুগলি, ২২ মে:- হুগলি জেলার খানাকুলে রাধানগর রামমোহন মেমোরিয়াল এন্ড কালচারাল কমিটির উদ্যোগে ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০ তম জন্মদিন পালিত হয়ে গেলো। পাশাপাশি একই সাথে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও তৃনমুল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এই মহান মনীষীর জন্মদিন পালিত হয়। উপস্থিত ছিলেন রাধানগর রামমোহন মেমোরিয়াল এন্ড কালচারাল কমিটির সভাপতি ডঃ পরেশ চন্দ্র দাস, সম্পাদক দেবাশীষ শেঠ, খানাকুল এক নম্বর ব্লকের বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী, তৃনমুল নেতা অর্নব সরকার আলি হাসান সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। সম্পুর্ন কোভিড প্রোটোকল মেনেই অনুষ্ঠান করা হয়। উল্লেখ্য রাজা রামমোহন রায় অথবা রামমোহন রায় ২২ মে, ১৭৭২ সালে হুগলি জেলার খানাকুলের রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি প্রথম ভারতীয় ধর্মীয়-সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রথম বাঙালি দার্শনিক ছিলেন। তৎকালীন রাজনীতি, জনপ্রশাসন,ধর্মীয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পেরেছিলেন।

তিনি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছেন, সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য তখন হিন্দু বিধবা নারীদের স্বামীর চিতায় সহমরণে যেতে বা আত্মাহুতি দিতে বাধ্য করা হত। রাজা রামমোহন রায় তা বন্ধ করতে উদ্যোগি হন এবং তৎকালীন বিট্রিশ সরকারকে তা বন্ধ করতে বাধ্য করেন। এই রখম এক মহান মনীষীর জন্মদিন করোনা পরিস্থিতিতে এক প্রকার অনারম্ভ ভাবেই পালন করা হয়। তবে সামাজিক দুরত্ব মেনে রাজা রামমোহন রায়ের জীবনী, আদর্শ ও রামমোহনের বসতবাড়ির নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এই বিষয়ে আঞ্চলিক ইতিহাসবিদ তথা বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবাশীষ শেঠ জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০ তম জন্মদিন পালন করা হয়। ২৫০ বছর উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করা হলেও তা বাতিল করা হয়। তবে কোভিড প্রোটোকল মেনে রামমোহন রায়ের জীবনী আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন তৃনমুল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতিতে এলাকায় মানুষকে মাক্স ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়। সবমিলিয়ে ভারত পথিক রাজা রামমোহন রায়ের জন্মস্থানেই জন্মদিন পালনে সামিল বিশিষ্ট জনেরা।