এই মুহূর্তে কলকাতা

করোনা টিকাকরনে এগিয়ে বাংলা।

কলকাতা, ১৫মে:- করোনা টিকাকরণে এগিয়ে বাংলা।কোউইন অ্যাপের পরিসংখ্যান বলছে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের সব রাজ্যের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে শহর কলকাতা। কলকাতায় মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। ইতিমধ্যেই শহরের ৩৫.৮ শতাংশ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে করোনার টিকা। প্রথম দিকে সব রাজ্যেই মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়া নিয়ে অনীহা থাকলেও এখন দ্রুত ভ্যাকসিন নিতে তৎপর সবাই। টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই আমেদাবাদ শহরের অধিবাসীরাও। সেখানে ইতিমধ্যেই ২৭ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন। ব্যাঙ্গালোর শহরেও বাড়ছে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ। সেখানকার ২৪.৮ শতাংশ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে করোনার টিকা। করোনা সংক্রমণের হার থেকে রেহাই পেতে অনেক বিশেষজ্ঞরাই জানিয়েছেন টিকাকরণের ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে।

আর কলকাতার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য রাজ্যের বড় শহরগুলিতেও টিকাকরণের ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছে সেখানকার প্রশাসন। তামিলনাড়ুর চেন্নাই শহরেও টিকাকরণ চলছে জোরকদমে। সেখানে ২৩.৮ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যেই টিকা পেয়েছেন। মুম্বইয়ের ক্ষেত্রেও চিত্রটা প্রায় এক। সেখানেও ২৩.৮ শতাংশ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে করোনার টিকা। দিল্লির ২১ শতাংশ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে করোনার টিকা। সারা দেশে লাগাতার বাড়ছে কোভিড সংক্রমণের হার। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। বাংলাতেও ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার।

দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের জন্য মিলছে না বেড। অনেক হাসপাতালে দেখা দিচ্ছে অক্সিজেন সংকট। কোথাও দেখা যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে অনেক বেশি টাকা। কালোবাজারি কারবারির সঙ্গে যুক্ত চক্রগুলি সক্রিয় হয়ে উঠছে। করোনার হাত থেকে রেহাই পেতে মানুষের মধ্যে বাড়ছে টিকা নেওয়ার প্রবণতা। আর ভ্যাকসিনের আকালও দেখা দিচ্ছে হাসপাতালগুলিতে। কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যস্ত রাজ্যবাসী ।