তরুণ মুখোপাধ্যায় , ১৩ মে:- গত সপ্তাহে হুগলির চন্ডিতলার এক গৃহবধু স্বর্ণালী পাল করণায় আক্রান্ত হন। তার পর এক অমানবিক ছবি দেখেছিল সেখানকার মানুষ জন। বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে বলেছিল এই অবস্থায় তুমি বাপের বাড়ি চলে যাও। অথৈ জলে পড়েছিল সেই গৃহবধূ। বাধ্য হয়ে তিনি চলে এসেছিলেন তার শ্রীরামপুরের বাপের বাড়িতে। কিন্তু সেখানেও পর্যাপ্ত স্থান না থাকায় যখন স্বর্ণালীর বাপের বাড়ির লোকেরা দিশাহারা অবস্থায় পড়েছিলেন, ঠিক সেইসময় ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন রিষড়া পৌরসভার মুখ্য পুর প্রশাসক বিজয় সাগর মিশ্র। গৃহবধূ স্বর্ণালী পালের এই করুণ অবস্থার কথা জানতে পেরে তিনি সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়ির লোকদের বলেন যে আপনারা রিষড়ায় চলে আসুন, আমাদের এখানকার সেবাসদনে করোনা রোগীদের জন্য সেফ হোম হয়েছে সেখানে আপনাদের মেয়েকে ভর্তি করে দেবো। তড়িঘড়ি স্বর্ণালীর বাপের বাড়ির লোকেরা তাকে নিয়ে আসেন রিষড়া সেবা সদনে।
তারপর কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ বিকালে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি গেলেন। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পৌর প্রশাসক বিজয় বাবু জানান আমরা এমন এক নেত্রীর নেতৃত্বে কাজ করি যিনি জন মন অধিনায়ইকা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায। সর্বদাই সাধারণ মানুষের জন্য তার মন কাঁদে। তিনি সব সময় আমাদের এই শিক্ষা দেন যেকোনো অবস্থায় যে কোন মানুষ যদি বিপদে পড়ে তার পাশে দাঁড়াবে। সেইমতো আমরা স্বর্ণালী দেবী রএই বিপদের কথা শুনে তাকে নিয়ে এসে চিকিৎসা করলাম। আজ আমরা খুব খুশি, তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। এ দিন বিকালে তার বিদায় কালে তাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্বর্ধনা জানান পৌর প্রশাসক বিজয় সাগর মিশ্র ছাড়াও পৌরসভার কো-অর্ডিনেটর মনোজ গোস্বামী, শুভজিৎ সরকার এবং অভিজিৎ দাস, নোডাল অফিসার অসিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়। তারা জানান মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত রিষড়া সেবা সদন টি সেফ হোম হওয়ার পর এই প্রথম একজন রোগী যিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি গেলেন।