এই মুহূর্তে কলকাতা

নব গঠিত রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক হচ্ছেন নির্মল ঘোষ।

কলকাতা , ১০ মে:- নব গঠিত রাজ্য বিধানসভার শাসকদলের মুখ্য সচেতক হচ্ছেন নির্মল ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বলেন তাপস রায় কে উপ মুখ্য সচেতক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রবীণ বিধায়ক আসিস ব্যানার্জি কে উপাধ্যক্ষ এবং আইনে সংস্থান থাকলে আব্দুল করিম চৌধুরী কেও এই পদে বসানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। যে সব সদস্য রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি তাদেরকে বিভিন্ন কমিটিতে রাখা হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান। রাজ্যে করনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলি ধাপে ধাপে চালু করার জন্য মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। আগামী সোমবার এই কমিটি পরবর্তী বৈঠকে বসবে।

সকালেই রাজভবনে শপথ নিয়েছে বাংলার মন্ত্রিসভা। ৪৩জনের সেই মন্ত্রিসভার এদিনই রয়েছে প্রথম বৈঠক। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী এই মন্ত্রীদের মধ্যে দফতর বন্টনের কাজটি করে দিলেন। প্রাথমিক ভাবে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিসাবে ফের প্রত্যাবর্তন করছেন অমিত মিত্র। শিল্প, বাণিজ্য তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থাকছে। অরূপ বিশ্বাস পাচ্ছেন বিদ্যুৎ। ফিরহাদ পাচ্ছেন পরিবহণ। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত থেকে বার হয়ে যাচ্ছে খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। তিনি পাচ্ছেন বন দফতর। পরিবর্তে খাদ্য ও সরবরাহ দফতর পাচ্ছেন রথীন ঘোষ।

এদিন রাজ্যের মন্ত্রীদের মধ্যে দফতর বন্টনের যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাঁর হাতে আগে যে দফতরগুলি ছিল সেগুলিকে ধরে রেখেই বাকি দফতর মন্ত্রীদের মধ্যে বন্টন করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকছে স্বরাষ্ট্র ও পাহাড়, কর্মীবর্গ ও প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব, উদ্বাস্তু ও ত্রাণ এবং তথ্যসংস্কৃতি। তবে এবারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরকেও মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে রেখেছেন। অন্য কোনও মন্ত্রীর হাতে তুলে দেননি। অর্থাৎ উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই থাকছে। অমিত মিত্র রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিসাবে কাজ করার পাশাপাশি বাড়তি দায়িত্ব পাচ্ছেন পরিসংখ্যান ও যোজনা এবং পরিকল্পনা দফতরের। সুব্রত মুখোপাধ্যায় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা এবং শিল্প পুনর্গঠনের দায়িত্ব পাচ্ছেন। সাধন পাণ্ডে তাঁর ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ধরে রেখে বাড়তি দায়িত্ব পাচ্ছেন স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি দফতরের। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বন দফতরের পাশাপাশি পাচ্ছেন অপ্রচলিত ও পুনর্যোগ্য শক্তির দফতর। বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা পাচ্ছেন সুন্দরবন উন্নয়ন বিষয়ক দফতর।

মন্ত্রিসভার নতুন মুখ মানসরঞ্জন ভুঁইয়া পেয়েছেন জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর। সৌমেন মহাপাত্র পেয়েছেন সেচ ও জলপথ। মলয় ঘটকের হাতে থাকছে আইন ও বিচার দফতর। উজ্জ্বল বিশ্বাসের হাতেও কারা দফতর থেকে যাচ্ছে। অরূপ রায়ের হাতে থাকছে সমবায় দফতর। ফিরহাদ হাকিম পরিবহণের পাশাপাশি পাচ্ছেন আবাসন দফতর। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্রমন্ত্রী হচ্ছেন চন্দ্রনাথ সিনহা। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় হচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী। ব্রাত্য বসুর হাতে যাচ্ছে স্কুল ও উচ্চশিক্ষা দফতর। পুলক রায় পাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর। শশী পাঁজার হাতে থাকছে মহিলা, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর। গুলাম রব্বানির হাতে আসছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষার দফতর। বিপ্লব মিত্র পাচ্ছে কৃষি বিপণণ দফতর। জাভেদ খানের হাতে থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর। স্বপন দেবনাথের হাতে থাকছে প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দফতর। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী পাচ্ছেন গণশিক্ষা ও গ্রন্থাগার দফতর।