এই মুহূর্তে জেলা

স্বামীর অত্যাচারে গৃহবধু মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত চন্দননগর।

সুদীপ দাস , ৩০ এপ্রিল:- স্বামীর অত্যাচারে গৃহবধু মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠলো চন্দননগর গড়ের ধার হরিদ্রাডাঙ্গা এলাকা। বধুর শুভাকাক্ষ্মীদের হাতে প্রহৃত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী ও শাশুড়ি। ভাঙচুর করা হলো অভিযুক্ত স্বামীর বাড়ি ও দোকান ঘর। মৃত ওই গৃহবধুর নাম পিঙ্কি পাল (৩৮)। অভিযুক্ত স্বামীর নাম দেবাশীষ পাল(৪০)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৬বছর আগে চুঁচুড়া থানার ময়নাডাঙ্গা, দক্ষিনায়নের বাসিন্দা পেশায় সরকারী কর্মী তপন সরকারের মেয়ের সাথে ভালোবেসে বিয়ে হয় চন্দননগর হরিদ্রাডাঙ্গার বাসিন্দা দেবাশীষের। অভিযোগ বিয়ের সময় যৌতুক নিলেও বিয়ের পরে অতিরিক্ত টাকার দাবীতে পিঙ্কির উপর শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে দেবাশীষ সহ তাঁর পরিবারের লোকজন। অভিযোগ পিঙ্কি চার চারবার সন্তান সম্ভবা হলেও বাপের বাড়ি থেকে টাকা না আনায় সেই সন্তানদের পৃথিবীর আলো দেখতে দেয়নি দেবাশীষ।

দেবাশীষ ও শ্বশুর বাড়ির লোকের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পিঙ্কি বছর দু’য়েক আগে বাপের বাড়ি চলে আসে। শারিরীক অত্যাচারে শরীরের বিভিন্ন অংশে হওয়া ক্ষতর চিকিৎসা চলতে থাকে। সম্প্রতি পিঙ্কির শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটে। শুক্রবার ভোর রাতে বাড়িতেই পিঙংকির মৃত্যু হয়। সকালে পিঙ্কির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ময়নাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা দেবাশীষের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়। দেবাশীষ ও তাঁর মা শিপ্রাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় দেবাশীষের বাড়ি ও বাড়িতে থাকা দোকানঘর। পরে দেবাশীষ ও তাঁর মাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেবাশীষের ও তাঁর পরিবারের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানায় পিঙ্কির পরিবারের লোকজন। তবে দেবাশীষদের উপর হামলা প্রসঙ্গে পিঙ্কির বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ পিঙ্কির মৃত্যর খবর দেবাশীষকে জানাতে গেলে দেবাশীষই তাঁদের উপর প্রথমে হামলা করে। তাঁরা শুধু সেই হামলার জবাব দিয়েছে মাত্র।