হুগলি , ২৮ এপ্রিল:- দাদনের টাকা ফেরত না পেয়ে ইট ভাঁটা মালিকের বাড়িতে করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে বসিয়ে দিয়ে গেলো পাওয়ানাদার। ঘটনায় চাঞ্চল্য বৈদ্যবাটিতে। আর এই ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৈদ্যবাটি মাটিপাড়ার বাসিন্দা গঙ্গারাম সরকার ইটের ব্যবসা করেন। বৈদ্যবাটি নিমাইতীর্থ ঘাট এলাকার ইট ভাঁটা মালিক শেষনাথ সিং এর সঙ্গে ইটের কারবার করার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাদন দেন কয়েক মাস আগে। তার স্ত্রী জয়া সরকার করোনা আক্রান্ত হন তিন দিন আগে। চিকিৎসার জন্য টাকা ফেরত চান ইট ভাঁটা মালিকের থেকে। গঙ্গারাম বাবুর দাবী,বেশ কয়েকবার বলা সত্তেও টাকা দেননি শেষনাথ। আজকের তারিখে একটি চেক দিয়েছিলেন, তার অভিযোগ এ্যাকাউন্টের চেক তাতে টাকা নেই। এমতাবস্থায় স্ত্রীর করোনা চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন বলেই এই কান্ড করেছেন। মালিকের হোয়াটসঅ্যাপে স্ত্রীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাঠিয়ে টাকা চান।
কিন্তু তাও টাকা না দেওয়ায় করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে টোটোতে চাপিয়ে নিয়ে সটান হাজির হন ইট ভাঁটা মালিকের বাড়িতে। করোনা আক্রান্তের যখন সেফ হোমে থাকার কথা তখন পাওনা টাকা আদায় করতে তাকে নিয়ে হাজির হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বৈদ্যবাটিতে। দের ঘন্টা সেই বাড়িতে বসে থাকেন। অবশেষে দশ হাজার টাকা নিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন গঙ্গারাম। তার অভিযোগ ইটও দেয়নি টাকাও ফেরত দেয়নি শেষনাথ সিং। অন্যদিকে শেষনাথ সিং এর দাবী ইট ভাঁটা বন্ধ রয়েছে কয়েক মাস ধরে। আর্থিক সমস্যার কথা জানানো হয়ে ছিল। দাদনের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলা সত্ত্বেও এই কান্ড ঘটালো গঙ্গারাম। ইট ভাঁটা লাগোয়া বাড়িতে ছোটো বাচ্চা নিয়ে বাইশ জন সদস্য আছে তাদের যদি করোনা হয় তার দায় কে নেবে। করোনা আক্রান্তকে তার বাড়িতে নিয়ে আসার পর প্রশাসনের সাহায্য চেয়েও পাননি বলে দাবী ইট ভাঁটা মালিকের। ঘটনায় শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক ও পুলিশে অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি। ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা সাবান জল ঢেলে ধুয়ে সাফ করে গোটা বাড়ি।