কলকাতা , ১০ এপ্রিল:-সবরকমের আয়োজন থাকলেও কলকাতা লাগোয়া দশ্ক্ষিণ ২৪ পরগণায় ভোট পর্ব পুরোপুরি শান্তিতে মিটল না । খাস কলকাতার অংশ যাদবপুর,কসবা, টালিগঞ্জ থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে।বিভিন্ন যায়গায় ভোট দিতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন ভোটাররা।বেশ কয়েক য়ায়গায় হামলা চালানো হয়েছে বিজেপির প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের ওপর।আক্রান্ত হয়েছে কসবার বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁ, বেহালা পূর্বের বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকার। বেশিরভাগ যায়গাতেই কাঠগড়ায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ থাকলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি যায়গা থেকে অশান্তির খবর মেলে। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রেই দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখা গেছে নির্বাচন কমিশনকে।
সকালেই কসবা ও যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসে। কসবা এলাকাতে অবশ্য সকাল থেকে পরস্পর বিরোধী অভিযোগে সরব হয়েছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি।কসবা বিধানসভার রাজডাঙায় বিজেপি প্রার্থীকে হেনস্থার অভিয়োগ উঠেছে। একশো একুশ ও একশো বাইশ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁকে হেনস্থার অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, বুথের বাইরে বেআইনি জমায়েতের খবর পেয়ে এলাকায় যান । কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে অভিযোগ করার রপই তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকার তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। তাঁকে রীতিমত ধাক্কা মেরে এলাকা ছাড়া করা হয় বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।
প্রার্থীর দাবি, বাইক বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাস করে ভোট করাচ্ছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।।কসবায় বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁ টাকা বিলি করে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগকে কেন্দ্র করে পুলিশের সামনেই দু’পক্ষের হাতাহাতি বেধে যায়।আবার কসবার ধানকল এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি সমর্থকদের হুমকি, ভোটারদের ভোটার কার্ড কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ্ তোলে বিজেপি।রাজ ডাঙ্গা ২১৭ নম্বর বুথে তার ওপর হামলার অভিযোগে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁ।। গাঙ্গুলিবাগানে একটি বুথে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তার পোলিং এজেন্টের গায়ে লঙ্কাগুঁড়ো ছেটানোর অভিযোগ করেন।
তবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিদ্যাসাগর কলোনি এলাকার একটি বুথে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবব্রত মজুমদারকে বাধা দিলে দলীয় কর্মীরা সেখানে এসে জড়ো হয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু করে। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখান থেকে তাদের বের করে দেয়। বজবজে ২০ নম্বর বুথে ইভিএমে বিজেপি প্রার্থীর বোতামে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ভোটাররা এব্যপারে প্রিসাইডিং অফিসারকে অভিযোগ জানানোর পর ভোটকেন্দ্রের বাইরে কয়েকজন ওই ভোটারদের গাড়িতে ভাঙচুর ও হামলা করেবলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বজবজ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ওই পরিবার।বেহালা পূর্বে হরিদেবপুরে বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকারের গাড়িতে হামলা চালিয়ে গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ।