এই মুহূর্তে কলকাতা

ভোটের হারে প্রথম দফাকেও ছাপিয়ে গেল দ্বিতীয় , ভোটারদের অভিনন্দন রাজ্যপালের।

কলকাতা , ২ এপ্রিল:- দিনভর লাগামছাড়া অশান্তি হলেও দ্বিতীয় দফায় পড়ল রেকর্ড সংখ্যক ভোট পড়েছে। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ৩০ আসনে গড়ে ৮৬ দশমিক ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বাঁকুড়ার কোতুলপুর বিধানসভা আসনে। ওই আসনে ভোট পড়েছে ৯০ শতাংশ। আর গোটা দেশের নজর যে কেন্দ্রের দিকে ছিল সেই নন্দীগ্রামে ভোট পড়েছে ৮৮ দশমিক ০১ শতাংশ। অর্থা‍ৎ গড় ভোটের চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে রাজ্যের অন্যতম হট সিটে। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর সদরে। সেখানে ভোট পড়েছে ৭২.৬৮ শতাংশ। প্রথম দফায় রাজ্যে ভোট পড়েছিল ৮৪ শতাংশের বেশি। দ্বিতীয় দফায় ভোটের হার প্রথম দফাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে এই রেকর্ড সংখ্যক ভোটদানে কোন পক্ষ লাভবান হয়েছেন, তা জানতে হলে আগামী ২ মে পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই। যদিও যুযুধান দুই শিবির তৃণমূল ও বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভোটাররা তাঁদের আশির্বাদ করেছেম।

এদিন রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে শীতলকুচির সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, ‘প্রথম দু’দফায় ৫০ এর বেশি আসনে জিতবেন দলীয় প্রার্থীরা।’ একই দাবি শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের গলাতেও।গতকাল দ্বিতীয় দফার ভোটে চার জেলার ৩০ আসনে ভোট ছিল। ৩০ আসনে মোট ৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে এদিন। এবং শুধু নন্দীগ্রামেই ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর তাই ধনখড় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের প্রশংসা করেছেন। তাই রাজ্যপাল টুইট করছেন, “পশ্চিবঙ্গের দ্বিতীয় দফার ভোটে ৩০ আসনে ৮৪ শতাংশের বেশি ও নন্দীগ্রামে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, যা খুবই প্রশংসনীয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ অসাধারণ কাজ করেছে। আগামী দফার ভোটেও এই একই ধারা বজায় রাখতে হবে।”মানুষকে ভোট দেওয়ারও বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলছেন, “সবাইকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করছি কারণ এভাবেই গণতন্ত্র বজায় থাকবে। হিংসার কোনও জায়গা নেই।”