এই মুহূর্তে জেলা

বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু হবে -ভার্চুয়াল মাধ্যমে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

হাওড়া , ৩১ জানুয়ারি:- রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হাওড়ার ডুমুরজলায় বিজেপির যোগদান মেলা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে দরিদ্রদের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হবে। সভায় তিনি আবারও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে রাজ্য থেকে অপসারিত করার ডাক দেন। তিনি অভিযোগ করেন, মা-মাটি-মানুষের স্লোগানকে বিশ্বাস করে রাজ্যের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় এনেছে। তবে বিগত ১০বছরে মা-মাটি-মানুষের স্লোগান অদৃশ্য হয়ে তোষণ, দুর্নীতির স্লোগানে পরিণত হয়েছে। বিগত বাম সরকার রাজ্যকে যে অবস্থায় ছেড়ে গিয়েছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে তার থেকেও খারাপ অবস্থায় নিয়ে গেছে। রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আরও পিছিয়ে নিয়ে গেছে। তাই সারা রাজ্যে আজ পরিবর্তনের ঢেউ উঠেছে।

তিনি জানান, রাজ্যে কৃষক সম্মান নিধি যোজনা চালু না করে মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের যেভাবে বঞ্চনা করেছেন, বিজেপির নেতা কর্মীরা প্রত্যেক কৃষকের ঘরে গিয়ে বিষয়টি তুলে ধরবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, শাসক দল থেকে নেতা-মন্ত্রীরা বিজেপিতে যেভাবে যোগদান করছেন তাতে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর বিষয়টি ভাবা উচিত। ক্রমাগত দল ছেড়ে দিলে আগামী দিনে মমতা ব্যানার্জি শুধুমাত্র একা ঐ দলে থাকবেন বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন। আজকের যোগদান মেলায় যারা বিজেপিতে যোগদান করেন, তাদের স্বাগত জানিয়ে শ্রী শাহ বলেন, এই নেতা-মন্ত্রীদের যোগদানের ফলে বিজেপির সোনার বাংলা গড়ে তোলার সংকল্প আরো শক্তিশালী হবে সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানী বলেন, যে দল শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রের সঙ্গে বিরোধিতা এবং জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে অপমান করে সেই দলে কোন দেশভক্ত থাকতে পারে না।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী রামকে যতই ত্যাগ করুন, এ রাজ্যে রামরাজত্ব গড়ে উঠবেই বলে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন। অন্যদিকে দলে যোগদান করে প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিজেপি কর্মীদের মধ্যে যে উন্মাদনা দেখা গেছে, তা আগামী দিনেও বজায় থাকলে সারা রাজ্যে পদ্মফুল ফুটবে। শ্রী বন্দোপাধ্যায় বলেন, আগেও তিনি মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছেন এবং আগামী দিনেও প্রয়োজনে রাজ্যের ২৯৪টি আসনে এবং প্রতিটি বুথে ও পাড়ায় গিয়ে কাজ করবেন। তিনি অভিযোগ করেন, ভোটের মুখে আজ রাজ্য সরকার মানুষের দুয়ারে সরকারকে নিয়ে যাওয়ার কথা উপলব্ধি করেছে এবং স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।