এই মুহূর্তে কলকাতা

রাজ্য এবং রাজভবনের সংঘাতের মধ্যেই হঠাৎ রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী।


কলকাতা , ৬ জানুয়ারি:- রাজ্য এবং রাজভবনের সংঘাতের মধ্যেই হঠাৎ রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করলেন। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বেশ খানিকক্ষণ কথাবার্তাও বললেন তিনি। রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘাত প্রতিদিন নতুন নতুন মোড় নিচ্ছে। এমনকি রাষ্ট্রপতির কাছে রীতিমতো স্মারকলিপি জমা দিয়ে রাজ্যপাল পদ থেকে জগদীপ ধনখ ড় এর অপসারণ দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর হঠাৎ রাজভবন গমন অনেককে ই চমকে দিয়েছে। নবান্ন থেকে বেরিয়ে এদিন সরাসরি রাজভবনে পৌঁছে যান মমতা। তাদের মধ্যে প্রায় একঘন্টা আলোচনা হলেও কি নিয়ে কথা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী তার কিছু জানাননি। তবে আলোচনার পরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর টুইটে জানিয়েছেন নতুন ইংরেজী নববর্ষে মুখ্যমন্ত্রী আজ ফাস্ট লেডি সহ তাদের অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নবান্নে সূত্রে জানানো হয়েছে, এটি সম্পূর্ণভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎকার। রাজ্যপালের সঙ্গে সঙ্ঘাতের আবহেই মমতার রাজভবনে যাওয়া রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ মমতা রাজভবনে যান। রাজভবনের সামনে রয়েছে পুলিশি তৎপরতা। উল্লেখ্য, এদিনই কোলাঘাটে সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘‌মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান মেনে কাজ করছেন না।’‌ এছাড়া এদিন ‘‌বহিরাগত’‌ ইস্যু–সহ আমফান, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।এর আগে একাধিকবার টুইট–যুদ্ধ, পত্রাঘাতে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের সঙ্ঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। আর এ সবের মধ্যে হঠাৎ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছে ওয়াকিবহল মহল। যদিও এর আগে ২০১৯ সালে কালীঘাটে নিজের বাড়ির কালীপুজোয় রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।