হাওড়া , ৬ জানুয়ারি:- নাবালিকার হাতে রয়েছে ‘সেফটিপিনে’র ক্ষত। যাতে লেখা কারও নাম। বুধবার লিলুয়ার এক সরকারি হোমে এর তদন্তে আসেন চাইল্ড কমিশনের চেয়ারপার্সন। অভিযোগ উঠেছিল নাবালিকার হাতে সেফটিপিন দিয়ে নাম লিখে দিয়েছিল কেউ বা কারা। জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে বাড়িতে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়েছিল ওই নাবালিকা। এরপর হাওড়া জিআরপির মাধ্যমে লিলুয়ার সরকারি হোমে তাকে আনা হয়েছিল। কিছুদিন পর যখন সে বাড়ি ফেরে তখনই জানা যায় ওই ঘটনা। প্রশাসনের সহায়তা চান নাবালিকার পরিবার। বুধবার বিকেলে ঘটনার তদন্তে লিলুয়া হোমে আসেন চাইল্ড কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। তিনি জানান, মেয়েটির হাতে লেখা নামের কোনও আবাসিক লিলুয়া হোমে নেই।
মেয়েটিকে হোম থেকে ছাড়ার সময় এবং পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সময়ে দু’বার মেডিক্যাল পরীক্ষা হলেও তার হাতের ক্ষতের কথা জানা যায়নি। এদিকে, কোভিড পরিস্থিতিতে তাকে প্রথম ১৫ দিন আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। চেয়ারপার্সন আরও বলেন, ওই নাবালিকা বাড়ি থেকে একটি ছেলের সাথে পালিয়ে আসে। পরে ছেলেটি তাকে ছেড়ে চলে গেলে জিআরপি তাকে উদ্ধার করে হোমে পাঠায়। ওই নাবালিকার কাউন্সেলিং করানো হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। নাবালিকার বাড়ির পরিবেশ খতিয়ে দেখে প্রাথমিকভাবে তাকে বাড়িতে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেও তার পরিবারের অনুরোধে তাকে বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।